গেল মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক ছিলেন, এরপর আর্জেন্টিনার হয়ে কাটিয়েছেন স্বপ্নের এক কোপা আমেরিকা, বনে গেছেন সেরা গোলরক্ষক। সেই এমিলিয়ানো মার্টিনেজেরই কিনা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলা নিয়ে ছিল শঙ্কা। তবে সব শঙ্কা সম্প্রতি উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে দেখা যাবে তাকে।
কোপা আমেরিকার পর থেকে আর্জেন্টিনা আর মাঠে নামেনি। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ দিয়ে সেই বিরতি থেকে ফিরছে আলবিসেলেস্তেরা। এরপর সেই বাছাইয়ের ম্যাচেই ৬ সেপ্টেম্বর ব্রাজিল ও ১০ সেপ্টেম্বর বলিভিয়ার বিপক্ষে খেলবে কোচ লিওনেল স্ক্যালোনির শিষ্যরা।
তবে আর্জেন্টিনা তো বটেই, দক্ষিণ আমেরিকার সব দলের এই বাছাইয়ে আপত্তি আছে ইউরোপিয়ান লিগগুলোর। চলমান করোনা মহামারির কারণে খেলোয়াড়দেরকে দেশ ছাড়ায় বাধ্যবাধকতা দিয়ে দিয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও লা লিগা কর্তৃপক্ষ। ফলে ইউরোপ ছেড়ে দেশে যেতে পারবেন না খেলোয়াড়রা। ইংলিশদের তালিকা অনুসারে করোনা মহামারির পরিস্থিতি বিচারে করা হয়েছে তালিকা, সেখানে এমিলিয়ানোর দেশ আর্জেন্টিনার অবস্থান লাল তালিকায়। শুধু আর্জেন্টিনাই নয়, ব্রাজিলও আছে একই ক্যাটাগরিতে।
ফলে লিগ কর্তৃপক্ষ ক্লাবগুলোকে জানিয়ে দেয়, খেলোয়াড় ছাড়লে ফেরার আগে নিদেনপক্ষে দশ দিনের কোয়ারেন্টাইন করতে হবে খেলোয়াড়দেরকে। ইউরোপীয় লিগগুলোর ঠাঁসা সূচিতে যার ফলে খেলা হবে না অন্তত দুটো ম্যাচে। এমন শঙ্কা থেকেই লা লিগা আর প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো খেলোয়াড় ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকান খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষের একটা বৈঠক হয়েছে বটে, কিন্তু সেখানে নেওয়া সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হতে পারেননি দক্ষিণ আমেরিকান খেলোয়াড়রা।
ইংল্যান্ড ছেড়ে যাওয়া চলবে না, গেলে ফেরার আগে কোয়ারেন্টাইন করার সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে খেলোয়াড়দের মাথার ওপর। এমন চোখরাঙানি সত্বেও দেশের হয়ে খেলা বন্ধ করবেন না বলে জানিয়েছেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। শনিবার রাতে ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে এক গোলে পিছিয়ে পড়লেও তার দল অ্যাস্টন ভিলা শেষমেশ ম্যাচটা ড্র করতে সক্ষম হয়। এরপরই ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বিষয়টি জানান তিনি। আর্জেন্টাইন এই গোলরক্ষক বলেন, ‘কঠিন একটা পয়েন্ট অর্জন হলো। এবার ছুটতে হবে আর্জেন্টিনার হয়ে।’
ইংলিশ দৈনিক ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভিলায় মার্তিনেসের সতীর্থ এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়াও যাচ্ছেন আর্জেন্টিনায়। একই পথ ধরবেন টটেনহ্যামের দুই আর্জেন্টাইন জিওভানি লো সেলসো ও ক্রিস্টিয়ান রোমেরো।
বাকি তিনজন অবশ্য মার্তিনেসের মতো নিজেদের ইচ্ছা প্রকাশ করেননি।
লা লিগা ও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ নিষেধাজ্ঞা দিলেও ফরাসি লিগ কর্তৃপক্ষ এমন কোনো বিধিনিষেধ জারি করেনি। ফলে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে বাধা নেই লিওনেল মেসি। অধিনায়ককে যথাসময়ে পাচ্ছে আর্জেন্টিনা। নেইমার জুনিয়রও নামতে পারবেন ব্রাজিলের হয়ে।