আইকোনিক ফোকাস ডেস্ক: হিন্দি সিনেমায় অমর কিছু গান রেখে গেছেন কল্যাণজি-আনন্দজি। ‘ডন’, ‘বৈরাগ’, ‘সরস্বতীচন্দ্র’, ‘কোরবানি’, ‘মুকাদ্দার কা সিকান্দার’, ‘ত্রিদেব’, ‘সফর’, ‘লাওয়ারিশ’, ‘জঞ্জির’ প্রভৃতি ছবিতে এই যুগলের সুর করা গানগুলোর কথা কি ভোলা যায়? ২০০০ সালে বড় ভাই কল্যাণজি বিরজি শাহ মারা যাওয়ার পর নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন আনন্দজি বিরজি শাহ।
ফেসবুকে তাঁর এই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে গিয়ে আসিফ লিখেছেন, ‘কোরবানি কোরবানি কোরবানি, আল্লাহ কো প্যায়ারি হ্যায় কোরবানি—সুপরিচিত ব্লকবাস্টার হিন্দি মুভি কোরবানির টাইটেল সং। কল্যাণজি-আনন্দজির সুর সংগীতের অমর সৃষ্টি। কল্যাণজি গত হয়েছেন আরও আগে।
বেঁচে আছেন তাঁর পার্টনার জীবন্ত কিংবদন্তি আনন্দজি। ‘ডন’, ‘কালাকার’, ‘মুকাদ্দার কা সিকান্দার’, ‘ত্রিদেব’, ‘লাওয়ারিশ’, ‘জঞ্জির’, ‘কোরবানি’র মতো প্রচুর মুভির সংগীতস্রষ্টা এই অমর জুটি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সংগীত পরিচালক রাজা কাশেফ আর তাঁর স্ত্রী রুবাইয়াত জাহানের বদৌলতে শ্রদ্ধেয় আনন্দজির সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি।’
আসিফ এও লিখেছেন, ‘আনন্দজির সঙ্গে আলাপের দুদিন আগেই লন্ডনে তাঁর মেয়ে প্রয়াত হয়েছেন। সেই শোক বুকে চেপেই তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। রাজা তাঁকে আমার রেকর্ডেড গান শুনিয়েছেন, তিনি আমার কণ্ঠ খুব পছন্দ করেছেন। গভীর রাতে ফোনে একটু হাইপার হয়েই তাঁর সঙ্গে ইংরেজি-হিন্দি-বাংলা আর কুমিল্লার আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেছি। আনন্দজি হুট করেই বললেন, তাঁর সুরারোপিত কালাকার সিনেমার ‘নীলে নীলে আম্বর পার’ গানটি শোনাতে। প্রশ্ন কমন পড়ে যাওয়ায় আমি বিনা বাক্যব্যয়ে গাওয়া শুরু করলাম, তিনি খুব মজা নিয়েই শুনলেন। এবার বললেন আরেক অমর গান, ‘পাল পাল দিলকে পাস তুম র্যাহেতে হো।’ আবারও প্রশ্ন কমন পড়েছে, জোশের চোটে এই গানটিও গেয়ে শোনালাম, শুনে তিনি অনেক খুশি। একটু আফসোস করেই বললেন, আমি যদি এখন গান তৈরি করতাম, অবশ্যই তোমাকে দিয়ে গান গাওয়াতাম।’
আনন্দজির সঙ্গে কথা বলতে পেরে আসিফ আকবর তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করে বললেন, ‘তাঁর মতো মহান একজন সুরকারের সঙ্গে কথা বলতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। আনন্দজির মতো কিংবদন্তি একজন সংগীতস্রষ্টার সঙ্গে কথা বলতে পারব—এই চিন্তাটাই তো মাথায় জীবনে আসেনি। স্ক্রিনশট টাইপ ছবি তোলার লাইনঘাট বুঝি কম। ছবিটি তুলে দিয়েছেন রাজা কাশেফ, তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। আনন্দজির সুস্বাস্থ্য আর দীর্ঘায়ু কামনা করি। তিনি আমার গান শুনতে চেয়েছেন এবং শুনেছেন। তাঁর ব্লেসিংস পেয়েছি—এটাই ক্ষুদ্র আসিফ আকবরের জীবনের বিশাল আনন্দ।’