বন্ধ হয়ে গেছে অনেক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর সরকার দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে। এদিন সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয় অঙ্গন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হলেও অসংখ্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তথা কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীশূন্য ছিল। কারণ প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে।

 

শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ অন্যত্র চলে যাওয়া, শিক্ষকদের বেতন দিতে না পারা, বাড়িভাড়া মেটাতে না পারাসহ বেশ কিছু কারণে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা এখন চরম আর্থিক সংকটে দিন কাটাচ্ছেন। বাঁচার জন্য অনেকে অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন।

 

টাঙ্গাইল জেলার ৮১৯টি কিন্ডারগার্টেনের মধ্যে ২০২টি বন্ধ হয়েছে। ১১ হাজার ৪৩৬ জন শিক্ষকের মধ্যে ৪ হাজার ৫৮৬ জন শিক্ষক বেকার হয়ে পড়েছেন। নেত্রকোনায় বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় সাড়ে ৩০০ কিন্ডারগার্টেন স্কুল। পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা শহরের ৩টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। এর মধ্যে অক্সফোর্ড কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে।

 

বরিশাল বিভাগের ৪৮৩টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কিন্ডারগার্টেনের মধ্যে শতাধিক বন্ধের পথে। নগরীর গোরস্থান রোড স্কয়ার প্রিপারেটরি স্কুল, ফরেস্টার বাড়ি এলাকার জাগরণী কিন্ডারগার্টেন, লাকুটিয়া সড়কের অ্যাপটেক প্রিক্যাডেট স্কুল, কাজীপাড়ার মর্নিংসান প্রিপারেটরি স্কুল ও হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকার হলি চাইল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলসহ এক ডজন স্কুল এখনো খোলেনি।

 

হবিগঞ্জে ইতোমধ্যে ৩০টি স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। মৌলভীবাজার জেলায় ৪১৪টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। এর মধ্যে ২০টি বন্ধ হয়ে গেছে। এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। আবার অনেকেই ভর্তি হচ্ছে না। নানা কাজে জড়িয়ে পড়েছে। শ্রীমঙ্গলের ৪৮টি কিন্ডারগার্টেনের মধ্যে ৩টি বন্ধ হয়ে গেছে। নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ৩টি কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া আরও প্রায় ২০টি কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হওয়ার উপক্রম। খাগড়াছড়ির ৯০০ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী চরম সংকটে রয়েছেন।

Leave a Reply

Translate »