আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ বিপদ যেন পিছু ছাড়ছে না বলিউডের ভাইজান সালমান খানের। কদিন আগে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু এনসিপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিক খুন হন। গুঞ্জন রয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হাতে খুন হয়েছেন তিনি। এই ঘটনা নিয়ে যখন গোটা ভারতজুড়ে তোলপাড়, এসবের মাঝেই নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে সালমানের নিরাপত্তা নিয়ে।
সালমান খানের পানভেল ফার্মহাউজে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া দুই ব্যক্তিকে জামিন দিয়েছে মুম্বাই হাইকোর্ট। তদন্ত সংস্থার দাবি, তারা কুখ্যাত বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত এবং সালমানকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৪ এপ্রিল বান্দ্রায় সালমানের বাসভবনের বাইরে গুলি চালানোর ঘটনায় তদন্তের সময় পুলিশ ফার্মহাউজে হামলার পরিকল্পনার তথ্য জানতে পারে। অভিযুক্ত ভাসিম চিকনা ও সন্দীপ বিষ্ণোইকে দ্রুতই আটক করা হয়।

পরবর্তীতে পুলিশ জানতে পারে, অজয় কাশ্যপ নামের একজন ব্যক্তি সালমানের ফার্মহাউজে নজরদারি চালিয়েছিল, যার সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া দুইজনের যোগাযোগ ছিল। তবে আসামিদের আইনজীবীর দাবি, তারা কোনো ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল না এবং বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যও নন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সাল থেকে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হিট তালিকায় রয়েছেন সালমান। ওই বছর ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ে গিয়ে রাজস্থানে একটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেন সালমান। আর এই বিষ্ণোই গ্যাং কৃষ্ণসার হরিণকে মাতৃরূপে পূজা করে। সেই সময় লরেন্সের বয়স ছিল ৫ বছর। তখন থেকেই সালমানকে খুন করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন লরেন্স।
বিষ্ণোই গ্যাংয়ের প্রধান লরেন্স এক পুরোনো সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সালমানকে হত্যা করাই লক্ষ্য। আমাদের আর কোনো লক্ষ্য নেই। কিন্তু সালমান যদি একটি কাজ করেন, তাহলে ক্ষমা করে দিতে পারেন। সেই সাক্ষাৎকারে লরেন্সকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কী করলে সালমানকে তারা ক্ষমা করবেন? উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের, বিষ্ণোইদের একটা মন্দির রয়েছে। এই মন্দিরের নাম মুকাম (মুকাম মুক্তিধাম মন্দির)। এই মন্দিরে গিয়ে সালমান যদি ক্ষমা চান এবং বলেন, যা করেছেন, তা ভুল করে করেছেন। মানুষের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। এক কথায়, সালমানকে মুকাম মন্দিরে এসে ক্ষমা চাইতে হবে।