ঢাকাই ছবির নায়িকা পরীমনিকে বনানীর বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, ইয়াবা, এলএসডি, আইস ও বিভিন্ন প্রকার মাদকসহ বুধবার আটক করে র্যাব।বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরীমনিকে আটকের পর লাইভে আসেন খ্যাতনামা পরিচালক মালেক আফসারী।
লাইভে তিনি বলেন, সাত-আট মাস আগে সে কিছু উল্টাপাল্টা ছবি ফেসবুকে দেয়, আমি আবার তাকে একটু হুশিয়ার করছিলাম। এটা ঠিক না, এটা মুসলিম দেশ। সে জবাব দিয়েছিল ফেসবুকের মাধ্যমে। বলেছিল, ‘আপনি ডিরেক্টর আছেন, ছবি ডিরেকশন দেন। আমাকে ডিরেকশন দিয়েন না।আমি আবার মাইন্ড করি নাই, থাক পোলাপাইন! তারপরও বোর্ড ক্লাবের ঘটনায় তার পক্ষ নিয়ে বলেছি, এটা বিচারের আওতায় আনা উচিত। এটাও জনগণ মেনে নিতে পারেনি। এখন আমি দেখতে চাই কি ঘটনা ঘটে। কারো পক্ষ নিয়ে কথা বলতে চাই না।
পরীর বাসায় অভিযান চলা প্রসঙ্গে লাইভে এই নির্মাতা দাবি করেন, ‘পরী একজন নাটকবাজ’।
‘দিনের বেলায় র্যাব সদস্যরা এই অভিযান পরিচালনা করেন। পরী লাইভে না এসে, তাদের সহযোগিতা করতে পারতো। যদি তার কোনো ভয় না থাকে। তারা নায়িকার বাসায় এসেছে নির্দিষ্ট কারণের ভিত্তিতেই, এমনি এমনই নয়। অভিযোগ ছাড়া তারা বাসায় যাবে কেন? এতদিন তো গেল না।’
তিনি বলেন, ‘আমি যেটা মনে করি, কারণ ছাড়া কেউ কারও বাসায় অভিযান চালায় না। কারণ আছে অন্য জায়গায়। কারণ যেটাই হোক না কেন, সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখতে হবে। এভাবে বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দাঁড় করিয়ে রাখা ঠিক হয়নি।’
ঢাকা বোট ক্লাবের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘এর আগে ঢাকা বোট ক্লাবের ঘটনায় তোমার পক্ষে কথা বলতে গিয়ে মানুষের নানা কথা শুনতে হয়েছে আমাকে। কি আর করমু বাঁশ খাইলাম, নিজেদের পরিবারের সদস্য। ছেলে-মেয়ে অন্যায় করলে বাপ-মাকেও মাঝে মধ্যে বকা শুনতে হয়। আমিও এটা শুনেছি।’
মালেক আফসারী বলেন, দরজা না খোলার কারণ, ভয় পাইছে। ভয় পাইছে না নাটক করছে! কে জানে। নাটকবাজ তো। তার পক্ষে কথা বললে বিপদ আছে আমার। কারণ এর আগে খুব বাঁশ খাইছি।
আরেকটি ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মনের ভিতর থেকে ধন্যবাদ দিতে চাই। দেরিতে হলেও ভালো কাজে নেমেছেন আপনারা। এই অভিযান দরকার ছিল। না হলে আমাদের যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যেত। কিন্তু কথা একটাই হেলেনা, পিয়াসা, মৌ সর্বশেষ পরীমনিকে আটক করলে হবে না। এই গুলার পিছনে বড় বড় রাঘব বোয়ালদের ধরতে হবে, তা না হলে এক পরী যাবে আরেক পরী আসবে, এক পিয়াসা যাবে আরেক পিয়াসা আসবে। এভাবেই চলতে থাকবে।’