আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ খেলায় প্রিয় দলটি হারলে ভক্ত-অনুরাগীদের মন খারাপ হয়। আর সেটা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। বড় কোনো খেলায় প্রিয় দলের হার কোনো ভক্তই আশা করেন না। প্রিয় খেলোয়াড়ের ব্যর্থতা মেনে নিতে কষ্ট হয়। বিপক্ষ দলের ভক্তদের বিজয় উল্লাস দেখে নিজের কান্না পায়।
এগুলো সবই স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে এই বিষণ্নতা ধরে রেখে নিজের মন-মেজাজ খারাপ করে বসে থাকারও কোনো মানে নেই।
এই অবস্থা থেকে বের হতে চাইলে নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে।
চিৎকার, কান্না, লাফ, হুঙ্কার- যা করলে মনের চাপ কমতে পারে সেটা করেই খারাপ লাগার অনুভূতিটা প্রকাশ করে দিন। চেপে রাখার দরকার নেই। মানসিক-চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই থেরাপি সমর্থন করে বলে জানায় খেলাধূলা-বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘গোল্স ডটকম। রাগ চেপে রাখলে রাগ আরও বাড়ে। তাই দুঃখ ঝেড়ে ফেলতে ওপরের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করা ভালো। অন্যের কিংবা টিভির ওপর রাগ ঝাড়ার কোনো মানেই নেই।
বিভিন্ন মাধ্যম থেকে দূরে থাকা যেমন কার্যকর তেমনি একই দুঃখে দুখী মানুষের সঙ্গে আলাপ করেও মানসিক শান্তি পাওয়া যায়।
যেকোনো মানসিক চাপ, বিষণ্নতা কমাতে চিকিৎসাবিজ্ঞানে শরীরচর্চার কথা বলা হয়। কারণ বিভিন্ন গবেষণায় বারবার প্রমাণিত হয়েছে, ব্যায়ামের ফলে ‘এন্ডোরফিন্স’ হরমোনের নিঃসরণ মনের জমে থাকা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। ‘ডোপামিন’ ও ‘সেরোটনিন’ হরমোন সুখের অনুভূতি দেয়। আর শরীরচর্চার ফলে এসব হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে।
স্পোর্টস ফ্যান ডিপ্রেশন’কে সাধারণত ‘স্পোর্টস ফ্যান ব্লুজ’ হিসেবেও আখ্যায়ীত করা হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর স্থায়ীত্ব বেশিদিন থাকে না বলেই সমর্থন করে। থ্রাইভওয়ার্কস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রিয় দল হারার দুঃখের অনুভূতি খুব বেশি হলে দুই সপ্তাহ থাকতে পারে। সাধারণত দুতিন দিন পরেই ঠিক হয়ে যায়। আর এরজন্য মনে রাখতে হবে এটা শুধুই একটা খেলা, হার-জিত থাকবেই।
এবার জয় হয়নি তাতে কি, আগামীতে আবার হবে বিজয়। এভাবে ভেবেই জীবনকে এগিয়ে নিতে হয়। আর মন খারাপ করে বসে থাকবেন না। আবার হবে লড়াই।