আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ সবশেষ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিপুণ আক্তার ও পীরজাদা শহিদুল হারুনের মধ্যে কম কাদা-ছোড়াছুড়ি হয়নি। তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে নানা আপত্তিকর অভিযোগ তুলেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে সে সময় বেশ জলঘোলা হয়েছে। তবে সেসব এখন অতীত।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ফেসবুকে নিপুণের একটি ছবি পোস্ট করে তাকে ‘বাজে মেয়ে’ বলে উল্লেখ করেছেন পীরজাদা হারুন। প্রশ্ন উঠতে পারে, তবে কি ফের দ্বন্দ্বে জড়ালেন তারা? উত্তর হবে ‘না’। এবার ব্যক্তিগত কোনো ইস্যু নয়, সিনেমার চরিত্র প্রসঙ্গে এমন পোস্ট দিয়েছেন পীরজাদা হারুন।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সারাদেশের ৩৪টি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে নিপুণ অভিনীত সিনেমা ‘বীরত্ব’। এতে একজন যৌনকর্মীর ভূমিকায় পর্দায় হাজির হয়েছেন তিনি। এই সিনেমার শুটিংয়ের জন্য বেশ কিছুদিন দৌলতদিয়ার যৌনপল্লীতে কাটিয়েছেন এ অভিনেত্রী। সিনেমাটিতে পীরজাদা হারুনও অভিনয় করেছেন। এখানে তিনি বিচারকের ভূমিকায় আছেন। মূলত দুজনের চরিত্রকে কেন্দ্র করেই এমন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
পীরজাদা হারুন লিখেছেন, নিপুণ একটা বাজে মেয়ে। তার স্বভাব-চরিত্রেও প্রবলেম আছে। তাই সে নিজেকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নিয়োজিত রাখতে না পেরে অস্বাভাবিক পথ বেছে নেয়। আর এ কারণেই প্রায়শই তাকে বিতর্কিত হতে হয়। একমাত্র আমিই তার ভবিষ্যতের বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম। কারণ, আমি তো বিচারক ছিলাম। আর এই বিচারকগণ বাস্তবতার প্রমাণ, কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেই কিন্তু আদেশ দিয়ে থাকেন। আমিও নিপুণের বিষয়ে সবকিছু সঠিক ও ন্যায়সঙ্গতভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করেই আমার আদেশ দিয়েছিলাম। এতে কিন্তু বিন্দুমাত্র আমার কোনো স্বার্থ ছিল না। আর তাতে কে কি বলল, সেটা আমি পরোয়া করি না। কারণ, আমিই সঠিক ছিলাম। আর আমি জানি সঠিক সকল সময়ই সত্য এবং সত্য একদিন প্রকাশ পাবেই। সন্দেহের কোনো বেড়াজাল যদিও সত্য প্রকাশকে মাঝেমধ্যে বিলম্বিত করে ঠিকই, কিন্তু তা সাময়িক। পরে কিন্তু আসল সত্যি ঠিকই বের হয়ে আসে। তাই আমিও তার মেয়ের বিষয়ে সঠিক আদেশটিই উন্মুক্ত আদালতে দিয়েছিলাম। পরে বাস্তবে কি হয়েছিল তা সিনেমার রঙিন পর্দায় দেখুন।