পর পর দুই দফা ব্রেইন স্ট্রোকের ধকল আর কাটাতে পারলেন না হুমায়ূন সাধু। ঢাকায় স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে এই চলচ্চিত্র অভিনেতা, নাট্য পরিচালক ও লেখকের মৃত্যু ঘটে। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
প্রকৃতির খেয়ালে তাঁর শরীরে স্বাভাবিক গড়ন ছিল না। তুলনামূলকভাবে খর্বাকার ছিলেন। এতে অবশ্য থেমে থাকেনি জয়যাত্রা। কোনো বাধাবিপত্তি তিনি আমলে নেননি কখনো। জীবনের টানে বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় কিছুদিন কাটান রেলস্টেশনে, বাসস্টেশনে। ঠিকানাবিহীন জীবনে এক সময় ঠিক নিজের জায়গা করেন নেন, নির্মাতা ও অভিনেতা হয়ে, লেখালেখি করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে থেমে গেল আলোচিত ‘ঊন-মানুষ’ টেলিছবির সেই অদম্য মানুষটির জীবনযাত্রা। নির্মাতা ও অভিনেতা হুমায়ূন সাধু পারি দেন না ফেরার দেশে।
তাঁর মৃত্যুর খবরটি জানিয়েছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বলেন, ‘সাধুকে তিন দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। অবশেষে সে জীবনযুদ্ধে হেরে আমাদের ছেড়ে চলে গেল।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘তুই সময় দিছিলি আমাদের তৈরি হওয়ার। আমরা হয়তো তৈরিও হইছিলাম। কিন্তু মানুষ বোধ হয় কখনোই প্রিয়জনের বিদায়ের জন্য তৈরি হইতে পারে না রে, সাধু