নায়লা নাঈমের বাসায় বিড়ালের দুর্গন্ধে বিপাকে প্রতিবেশীরা।

মডেল ও অভিনেত্রী নায়লা নাঈমের বাসায় বিড়ালের দুর্গন্ধে বিপাকে প্রতিবেশীরা। প্রতিবেশীরা প্রতিবাদ করে চরম অপমানের শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাঁচ শতাধিক বিড়াল পালন করেন এই অভিনেত্রী। কিছুদিনের মধ্যে বিড়াল সরিয়ে নেয়া হবে বলে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নায়লা নাঈম।

জানা গেছে, প্রায় চার বছর ধরে বসবাস করেন রাজধানীর আফতাবনগরে। নগরের বি-ব্লকের-২ নং রোডের – নং বাসার ৭ম তলার দুইটি ফ্ল্যাট তার মালিকানায়। ওই ফ্ল্যাটের একটি তিনি বিড়াল পালছেন। এছাড়া ভবনের নিচ তলায় তার একটি অফিস কক্ষ রয়েছে। অফিস কক্ষটি ডেন্টাল ডাক্তার হিসেবে ভাড়া নিলেও কখনোই রোগী দেখেন না তিনি।

স্থানীয়রা জানায় ৭ম তলার দুইটি ফ্লোরের একটি বিড়াল পালনের কাজেই ব্যবহার করেন নায়লা। এসব বিড়ালের বিষ্ঠা লিফটে করে নামানো হয়। লিফটে বিড়ালও উঠা-নামা করান কর্মচারীরা। ফলে লিফট ও অন্যান্য ফ্লোরে ব্যাপক দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় চার বছর ধরে এই সমস্যা সইতে হচ্ছে প্রতিবেশীদের।

বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশীদের দীর্ঘদিনের আপত্তি ও অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে বাড্ডা থানায় একাধিকবার অভিযোগ করেছে ফ্ল্যাট মালিক সমিতি। সমিতির পক্ষ থেকে বাড্ডা থানায় অভিযোগও দেয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা কোনো সুরাহা পায় না।

করোনায় সংক্রমণ শুরু হলে নায়লার বাসার ৫ শতাধিক বিড়াল নিয়ে শঙ্কায় পড়েন স্থানীয়রা। তাদের আশঙ্কা, বিড়ালের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ শুরু হলে ভবনের সব ফ্ল্যাটে করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। এজন্য বিষয়টি নিয়ে নায়লার সঙ্গে কথা বলে এক প্রতিবেশী। এর জের ধরে বাইরে থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা গিয়ে তাদেরকে চরম অপমান করেন।

বিষয়টি নিয়ে ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সদস্যদের কাছে জানতে চাইলে তারা কথা বলতে রাজি হননি। তবে প্রাপ্ত সূত্র থেকে জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে একটি সুরাহা হচ্ছে। বিড়াল সরিয়ে নেয়ার জন্য পুলিশের বাড্ডা জোনে উনি (নায়লা নাঈম) একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

একাধিক প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চার বছর ধরে এই সমস্যা হচ্ছে। তিনি বাণিজ্যিকভাবে বিড়ালের খামার হিসেবে আবাসিক এলাকার ফ্ল্যাট ব্যবহার করছেন। ফ্ল্যাটের পরিবেশও খুব অস্বাস্থ্যকর। বিড়াল পালনের জন্য তিনি স্থানীয় আবাসিক সমিতি থেকে কোনো অনুমতি নেননি।

তারা জানান, বিড়ালের দুর্গন্ধে এই ভবনের বাসিন্দাদের মধ্যে সব সময় অসুখ লেগে থাকে। বিশেষ করে সব বর্জ্য লিফটে আনা-নেয়া করায় সমস্যাটা বেশি হয়ে থাকে। তাছাড়া বিড়ালের খামারে ব্যবহৃত ময়লা-অস্বাস্থ্যকর কাপড় ও অন্যান্য দ্রব্য ছাদে নিয়ে পরিস্কার করা হয়। ফলে অন্যরা ছাদে গেলে বিপাকে পড়েন।

নায়লা নাঈমের বাণিজ্যিকভাবে বিড়াল পালনের অনুমতি রয়েছে তা জানা যায়নি। তবে বন বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজল তালুকদার সময় নিউজকে জানান, বন বিভাগ থেকে এখনো পর্যন্ত হরিণ পালন ও বিদেশি পশু-পাখি যারা দেশে এনে পালন করে তাদের অনুমোদন দেয়া হয়। কুকুর বা বিড়াল বাণিজ্যিকভাবে পালনের বিষয়টি আমাদের নীতিমালাভুক্ত নয়।

Leave a Reply

Translate »