নামাজের পর পদ্মায় বিলীন মসজিদ, হাউমাউ করে কাঁদলেন মুসল্লিরা

পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় আবারো নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে ৪নং ফেরিঘাট সংলগ্ন সিদ্দিক কাজীরপাড়া জামে মসজিদ ও সংলগ্ন ৫টি বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

সোমবার (৩০ আগস্ট) ফজরের নামাজ আদায়ের পর মসজিদটি পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়।

ভাঙন আতঙ্কে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছে আরও ২০টি পরিবার। হুমকিতে রয়েছে ৪টি ফেরিঘাট, ঘাটের সংযোগ সড়ক, ২ শতাধিক পরিবারসহ বহু স্থাপনা।

ভাঙনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করেন এলাকাবাসী।

এদিকে ভাঙন প্রতিরোধে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ জরুরিভাবে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করতে শুরু করেছে।

সিদ্দিক কাজীরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ জুবায়ের হোসেন বলেন, সোমবার ভোরেও আমরা মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করেছি। সকাল ৮টার দিকে খবর পাই মসজিদের পাশে ভাঙতে শুরু করেছে। দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে চোখের সামনের দেখলাম মসজিদের একাংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেল। এ সময় এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষ হাউমাউ করে কান্নাকাটি শুরু করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আশরাফ হোসেন বলেন, ভাঙনে সিদ্দিক কাজীরপাড়ার সিদ্দিক কাজী, হান্নান কাজী, মান্নান কাজী, আরশাদ আলী ও বাচ্চু খানের বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। তবে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তারা তাদের ঘরবাড়ি গুলো দ্রুত সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়।

দৌলতদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান ভাঙন পরিস্থিতি দেখতে এসে দুর্গতদের দুর্দশা দেখে নিজেই কেঁদে ফেলেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি নিজে, আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব এবং প্রশাসনের পক্ষ হতে গত কয়েক দিন ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে এখানে ভাঙনের বিষয়ে আশঙ্কার কথা বলে আসছিলাম। কিন্তু তারা যথাসময়ে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা নেয়নি। ভাঙন শুরু হওয়ার পর জিওব্যাগ ফেলা শুরু হলেও তাতে খুব একটা কাজ হচ্ছে না। বরং এতে সরকারের ব্যয় বেশি হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিএর আরিচা অঞ্চলের উপসহকারী প্রকৌশলী মকবুল হোসেন জানান, ভাঙনের খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে জরুরিভিত্তিতে জিওব্যাগ ডাম্পিং করতে শুরু করেছি। এটা অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Translate »