পরনে ইউনিফর্ম, বুট, বালাক্লাভা হেলমেট আর শরীরবর্ম- পুরোপুরি সামরিক সাজে তালেবান সদস্যদের এই রূপ দেখে চমকে যাবেন অনেকেই।
সম্প্রতি নিজেদের ‘বিশেষ বাহিনীর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন ছবিই প্রকাশ করেছেন তালেবান। সেখানে সামরিক পোশাকে তালেবান সদস্যদের ছবি দেখলে অনেকেরই চোখ কপালে উঠতে পারে। অনেকেই আবার এটা আসলেই তালেবান সদস্যদের ছবি কী না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে পারেন। কারণ সেই চিরচেনা আফগান পোশাক পরিহিত তালেবান সদস্যদের সাথে এই তালেবানের কোনো মিলই খুঁজে পাওয়া যাবে না।
তালেবান তাদের এই বিশেষ বাহিনীর নাম দিয়েছে ‘বদরি ওয়ানথ্রিওয়ান’। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অতীতের চেয়ে বর্তমানের তালেবান কতটা প্রশিক্ষিত আর সুসজ্জিত তা বোঝাতেই বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিশ্বের সব বিশেষ বাহিনীর মতোই আফগান ঐতিহ্যবাসী পোশাক সালোয়ার-কামিজ, পাগড়ি আর স্যান্ডেলের বদলে তালেবানের সদস্যদের ইউনিফর্ম, বুট, বালাক্লাভা হেলমেট আর শরীরবর্ম পরতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে চিরচেনা রাশিয়ান তৈরি কালাশনিকভ রাইফেলের বদলে তালেবানের বিশেষ বাহিনীর কাঁধে দেখা গেছে এমফোরের মতো যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি রাইফেল। কখনো কখনো তাদের চোখে দেখা গেছে নাইট ভিশন গগলস।
এ ব্যাপারে নিরাপত্তা পরামর্শক ম্যাট হেনম্যান জানান, তালেবানের মধ্য থেকে সেরা যোদ্ধাদেরই বিশেষ বাহিনীতে নেওয়া হয়েছে। তবে এই বিশেষ বাহিনী তালেবানের প্রচারণা চালানোর এক ধরনের প্রপাগান্ডাও হতে পারে।
নাম প্রকাশ না করে এক পশ্চিমা সামরিক বিশেষজ্ঞ ছদ্মনামে টুইটারে জানিয়েছেন, তালেবানের বিশেষ বাহিনীর সাথে পশ্চিমা কিংবা পাক-ভারতের বিশেষ বাহিনীর মিল নেই। তারা চিরচেনা তালেবান সদস্যদের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয়। তারা নিঃসন্দেহে আফগান ন্যাশনাল আর্মির চেয়ে মান সম্মত।
১৪০০ হাজান বছর আগের ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) মাত্র ১৩১ জন সাহাবি নিয়ে বিধর্মীদের মোকাবেলা করেছিলেন। সেই জন্য হাজারের বেশি সদস্যদের দলটির নাম ‘বদরি ওয়ানথ্রিওয়ান’ রাখা হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।