আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ বাংলাদেশ এখন থেকে পেসার খেলাবে তিনজন করে। ব্যাটসম্যান কমিয়ে বোলার বেশি খেলাবে। টেস্ট খেলবে জেতার জন্য। কঠিন কন্ডিশনে আগে ব্যাট করবে। ইনিংস ঘোষণার ক্ষেত্রে সাহসী হবে। টেস্টে উন্নতি করতে হলে বাংলাদেশকে ধীরে ধীরে এই পথেই এগোতে হবে।
মাঝে দুই মাসের বিরতির পর আবার টেস্ট ক্রিকেটে ফিরল বাংলাদেশ। এবার প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। খেলা হারারেতে। যেখানকার উইকেট গতি ও বাউন্সের জন্য পরিচিত।
টেস্ট শুরুর দুই দিন আগে কোচ ডমিঙ্গোর কথাতেও সেই ইঙ্গিতই ছিল, পেসারদের উন্নতি নিয়ে খুবই খুশি। তারা পরিশ্রম করতে পিছপা হয় না। টেস্ট ম্যাচের সংখ্যার দিক দিয়ে তারা অনভিজ্ঞ হতে পারে, তবে তারা কঠোর পরিশ্রম করেছে। সেদিন খুব বেশি দূর নয়, যখন একজন ফাস্ট বোলার আমাদের টেস্ট ম্যাচ জেতাবে।
গতকাল হারারে টেস্টের প্রথম সকালে দেখা গেল উল্টো চেহারার বাংলাদেশ দল। একাদশে ৮ জন নিখাদ ব্যাটসম্যান, মেহেদী হাসান মিরাজকে ধরলে সংখ্যাটা হয়ে যায় ৯। ব্যাটসম্যানদের জায়গা দিতে দলে রাখা হয়নি টেস্ট দলের সফল পেসার আবু জায়েদকে। সুযোগ পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও ইবাদত হোসেন, কিন্তু দুজনের কেউই সুইং বোলার নন। গতি কম থাকলেও নিয়ন্ত্রণ ও সুইংয়ে দক্ষ জায়েদকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ একাদশে সুযোগ দেওয়া হয় ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহকে।
এসব সিদ্ধান্তের পেছনে একটাই কারণ, টপ অর্ডারে তামিম ইকবালের শূন্যতা ও বাংলাদেশের নেতিবাচক মানসিকতা। চোটের কারণে তামিম খেলছেন না হারারে টেস্টে। তামিমের না থাকা মানেই টপ অর্ডার নড়বড়ে হয়ে পড়া। মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান থাকায় বাংলাদেশি মিডল অর্ডারে যথেষ্ট অভিজ্ঞ বলতেই হয়। কিন্তু টপ অর্ডার থেকে তামিমকে সরিয়ে দিলেই মাত্র ৫ টেস্ট খেলা সাইফ হাসান, ৭ টেস্ট খেলা সাদমান ইসলাম ও ৮ টেস্ট খেলা নাজমুল হোসেন একেবারেই পথহারা। এখন সব ভাগ্য। কী হবে এই টেস্ট এর পরিনতি।