আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃবৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলেছে, এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত বোমারু বিমান মোতায়েনের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি হিসেবে কৌশলগত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এই পরীক্ষাগুলো চালানো হয়েছে।
বিবিসি বলছে, উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপ করা দুটি ক্ষেপণাস্ত্র সাগরে পড়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। কিম জং উনের দেশটি এমন এক সময়ে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করল যখন দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক সামরিক মহড়া চলছে।
একে অপরের মিত্র এই দুই দেশের এই ধরনের সামরিক মহড়াকে অবশ্য যুদ্ধের মহড়া হিসাবে দেখে থাকে পিয়ংইয়ং।
আরও পড়ুন ঃদুর্নীতি মামলায় ইমরান খানের দণ্ড স্থগিত
উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে, বুধবার স্থানীয় সময় গভীর রাতে ‘দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান কমান্ড সেন্টার এবং অপারেশনাল এয়ারফিল্ডে’ হামলার অনুকরণে কৌশলগত পারমাণবিক হামলার মহড়া হিসেবে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করা হয়।
দেশটির সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ‘শত্রুদের কাছে স্পষ্ট একটি বার্তা পাঠানোও ছিল এই মহড়ার উদ্দেশ্য।’
বিবিসি বলছে, চলতি আগস্ট মাসের তৃতীয় সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র তাদের বার্ষিক সামরিক মহড়া শুরু করে। উভয় দেশের ১১ দিনের সম্মিলিত এই সামরিক মহড়া শেষ হওয়ার একদিন আগেই এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার মিডিয়া অনুসারে, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার এই মহড়ায় অন্তত একটি মার্কিন বি-১বি কৌশলগত বোমারু বিমান কোরীয় উপদ্বীপের ওপরে উড্ডয়ন করে।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন মঙ্গলবার তার শীর্ষ কমান্ডারদের দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সর্বাত্মক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করার জন্য মহড়া পর্যবেক্ষণ করেছেন বলে পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই মহড়ায় আকস্মিক আক্রমণ প্রতিহত করার পাশাপাশি ‘দক্ষিণ কোরিয়ার পুরো অঞ্চল’ দখল করার জন্য পাল্টা আক্রমণ শুরু করার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।