আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃসৌন্দর্য চর্চার জন্য রয়েছে প্রসাধনী সামগ্রী। অনেক সময় ত্বক উপযোগী সঠিক পণ্য বাছাই করা কঠিন হয়ে যায়। তাই ঘরে থাকা উপাদান দিয়ে ত্বকের যত্ন নেয়াই ভাল। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য সৌন্দর্যচর্চার কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি এখানে দেওয়া হলো।
রাতে ঘুমানোর আগে এই কয়টি ফেসপ্যাকটি লাগালে ত্বক উজ্জ্বল হবে আপনার, জেনে নিন-
লেবু ও মধুর ফেসপ্যাক:
লেবুতে দরকারি ভিটামিন সি থাকে এটির অম্লতা মুখের ময়লা দুর করতে সক্ষম। আবার মধু মুখের পুষ্টির যোগান ধরে। লেবু ও মধুর ফেসপ্যাক তৈরি করতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার এই মিশ্রণটি মুখে এবং ঘাড়ে লাগান। এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে ১৫ মিনিট। তারপর স্বাভাবিক জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন। প্রতিদিন এই প্যাকটি লাগালে মুখের দাগও দূর হবে এর ফলে আপনার মুখের আভা ফিরে আসবে।
আরও পড়ুন ঃযে 5 টি লক্ষণ দেখলে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাতে হবে
হলুদ ও দুধের ফেসপ্যাক:
হলুদ একটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রকৃতি উপাদান, এটি মুখের ব্যাকটেরিয়াল, ফাংগাল ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করে ও মুখ উজ্জ্বল করে। দুধে থাকা লাক্টিক অ্যাসিডও খুব ভালো মুখ পরিষ্কার করতে পারে। এই হলুদ ও দুধের ফেসপ্যাক তৈরি করতে হলুদ বাটা বা গুরো দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে, এবার এই মিশ্রণটি মুখে ও ঘাড়ে লাগান, এতে করে মুখের দাগ ছোপ দূর হবে ও নিস্তেজতা কমে আপনার নিজস্ব আভা ফুটে উঠবে।
মাখন এবং গোলাপ জলের ফেসপ্যাক:
মাখনে প্রয়োজনীয় তেল থাকে যা মুখকে ময়শ্চারাইজ করতে সাহায্য করে ও গোলাপ জল মুখের শুষ্কতা দূর করে। এই ফেসপ্যাকটি তৈরি করতে একটি পাত্রে মাখন এবং গোলাপ জল মিশিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এই প্যাকটি মুখে এবং ঘাড়ে লাগিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। এই প্যাকটি মুখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে তারপর স্বাভাবিক জল দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এই প্যাকটি লাগালে মুখের পুষ্টি দরকার পূরণ হবে এবং ত্বকে উজ্জ্বলতাও আসে।
আরও পড়ুন ঃকাদের রোগের ঝুঁকি বেশি লম্বা নাকি খাটো?
মধু ও ডিমে ফেসপ্যাক:
আমাদের আজকের সব শেষ উপাদানটি হলো মধু। মধু সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। ত্বক মসৃণ করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো মধু।২-৩ চামচ মধু, ১ টি ডিমের সাদা অংশ ফেটিয়ে ভাল করে মেশান। ভাল করে মুখে মেখে ১৫-২০ মিনিট পর ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে তারপর ফেইস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ বার করে দেখুন, ১ মাসের মধ্যেই আপনি পার্থক্য বুঝতে পারবেন। এই ঘরোয়া উপাদানগুলো ছাড়াও মসৃণ ত্বক পেতে বা মসৃণতা বজায় রাখতে কতগুলো বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।