আইকনিক ফোকাস ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালের নির্বাচনে হেরে ফল পাল্টানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার (২ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে গত চার মাসে তৃতীয়বারের মতো ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার বিরুদ্ধে মোট চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা, সাক্ষীকে হেনস্তা এবং রাষ্ট্রের জনগণের অধিকারের বিরুদ্ধে প্রতারণা করা। তবে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এর আগে রাষ্ট্রের গোপন নথির অপব্যবহার এবং এক পর্ন তারকাকে অর্থের মাধ্যমে মুখ বন্ধ রাখার অভিযোগে ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। এখন তার বিরুদ্ধে তৃতীয় একটি অভিযোগ আনা হলো।
আরো পড়ুনঃচ্যাটজিপিটির সেবা এখন নেয়া যাবে অ্যান্ড্রয়েডে
২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প হেরে যাওয়ার পর দুই মাস এবং ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিলে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি তার সমর্থকদের হামলার বিষয়টির ওপর তদন্ত করা হয়েছে। এ তদন্তের নেতৃত্ব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের নিয়োগকৃত বিশেষ কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি আমাদের রাজধানীতে যে হামলা করা হয়েছিল তা আমেরিকার গণতন্ত্রের ওপর গুরুতর আঘাত।
ট্রাম্প ছাড়াও ৪৫ পৃষ্ঠার ওই অভিযোগপত্রে ছয়জন অজ্ঞাত ষড়যন্ত্রকারীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যারমধ্যে চারজন আইনজীবী, একজন বিচার বিভাগের কর্মকর্তা এবং অপরজন রাজনৈতিক পরামর্শক।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ট্রাম্প অসাধু উপায়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন । ভোটের কারচুপির যে অভিযোগ করা হয়েছিল তা পুরোপুরি মিথ্যা। তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের দ্বারা জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে কংগ্রেসের স্বীকৃতি আটকাতে ব্যর্থ হন ট্রাম্প। তা সত্ত্বেও দাঙ্গা-হাঙ্গামার মাধ্যমে তিনি ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছিলেন।
এ ছাড়া অভিযোগপত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশাপাশি কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ও ট্রাম্পের নির্বাচন ক্যাম্পেইনের কর্মীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।