ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ বর্ষা এলেই ডেঙ্গু রোগের দাপট বেড়ে যায়। ডেঙ্গু জ্বর একটি মশাবাহিত সংক্রমণ যা এডিস মশা থেকে ছড়ায়। ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি বিশ্বের অনেক অংশে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ: 

  • জ্বর-সহ ঠান্ডা লাগা 
  • মাথাব্যথা 
  • পেশি, হাড় বা জয়েন্টে ব্যথা 
  • বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া 
  • চোখের পিছনে ব্যথা 
  • গ্রন্থি ফুলে যাওয়া 
  • গায়ে লাল রঙের ফুসকুড়ি।

আরও পড়ুন ঃগুগল ম্যাপে কীভাবে লোকেশন যোগ করবেন

ডেঙ্গুর গুরুতর উপসর্গ : 

  • প্রচণ্ড পেট ব্যথা
  • ক্রমাগত বমি হওয়া
  • মারি বা নাক থেকে রক্তপাত
  • প্রস্রাবে এবং মলের সাথে রক্তপাত
  • অনিয়ন্ত্রিত পায়খানা 
  • ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ (যা ক্ষতের মতো দেখাতে পারে)
  • দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস
  • ক্লান্তি
  • বিরক্তি এবং অস্থিরতা

ডেঙ্গু জ্বরের সতর্কতা ঃ

  • ডেঙ্গু একটি মশা-বাহিত রোগ। তাই মশার কামড়ের হাত থেকে নিজেকে এবং আপনার পরিবার কে বাঁচান। 
  • বাড়ির চারপাশে জল জমতে দেবেন না। জমা জলে মশারা বংশবিস্তার করে। জল জমতে না দিয়ে মশার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সপ্তাহে অন্তত একবার জল জমতে পারে এমন জায়গা পর্যবেক্ষণ করুন। এবং গাছের টব, ফুলদানি, পরে থাকা গাড়ির টায়ারের জমে থাকা জল ফেলে দিন। 
  • শরীর ঢাকা জামা কাপড় যেমন লম্বা-হাতা শার্ট, লম্বা প্যান্ট, মোজা এবং জুতা পরুন।
  • ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী মশা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে। এই সময় অতিরিক্ত সতর্ক থাকুন। 
  • রাতে শোবার সময় মশারী ব্যবহার করুন। 
  • মশা নিরোধক কেমিক্যাল যেমন পারমেথ্রিন ব্যবহার করুন। 

আরও পড়ুন ঃজবা ফুলের চায়ের গুণাগুণ ও বানানোর পদ্ধতি

ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসায়োজন-

 

যেকোনো রোগে বা রোগের উপসর্গ দেখা দিলেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তারের নির্দেশনা ছাড়া ঔষধ গ্রহণ করলে অথবা নিজে থেকে কোনো পদক্ষেপ নিতে গেলে অনেক সময় মারাত্মক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়। নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাসায় প্রাথমিক পরিচর্যা ও চিকিৎসা শুরু করা ভালো। ডেঙ্গু জ্বরের কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই।জেনে নিন ডেঙ্গুর প্রতিকারে যা যা করা প্রয়োজন-

  • জ্বর কমানোর জন্য শুধু প্যারাসিটামল বা এ জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন। 
  • জ্বরের মাত্রার উপর নির্ভর করে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পর পর এই ঔষধ ব্যবহার করতে হবে। 
  • ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি দিনে ৪টি ঔষধ নিতে পারবেন। এর বেশি নিলে লিভারের সমস্যাসহ নানা ধরনের জটিলতা হতে পারে। 
  • ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে জ্বর কমাতে গিয়ে অ্যাসপিরিন অথবা ব্যথানাশক এনএসএআইডি গ্রুপের ঔষধ ব্যবহার না করার প্রতি কড়াভাবে নিষেধ করেন ডাক্তাররা। 
  • জ্বর কমানোর জন্য গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে শরীর মুছতে পারেন অথবা গোসল করাটাও এক্ষেত্রে কার্যকরী।
  • যেহেতু ডেঙ্গু রোগীরা অধিকাংশ সময়ই ক্লান্ত থাকেন, তাদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া জরুরি।
  • লক্ষণ দেখা দেওয়ার ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত কোনো ভারী কাজ অথবা মাত্রাতিরিক্ত পরিশ্রম করা যাবে না। তবে তাই বলে শুধু শুয়ে-বসে থাকাটাও ঠিক নয়। স্বাভাবিক হাঁটাচলা বা দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
  • এ সময় বাসার বাইরে না যাওয়াই ভালো।

Leave a Reply

Translate »