আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃসুষম ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাসে ডিম একটি ভালো খাবার হতে পারে। আমরা ডিম থেকে প্রোটিন ছাড়াও প্রয়োজনীয় কিছু ভিটামিন ও মিনারেল পেয়ে থাকি।
ডিমের পুষ্টিগুণ ঃ
ডিম একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার। যেমন –
- প্রোটিন
- ভিটামিন ডি
- ভিটামিন এ
- ভিটামিন বি২
- ভিটামিন বি১২
- আয়োডিন
- ফোলেট বা ফলিক এসিড
দিনে কয়টি ডিম খাওয়া উচিত?
দিনে কতগুলো ডিম খাওয়া যাবে এ বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট পরামর্শ নেই।তবে ডিম লবণ ও তেল যোগ না করে রান্না করা সবচেয়ে ভালো।ডিম সেদ্ধ অথবা পানিতে পোঁচ করে এবং কোনো লবণ না মিশিয়ে খেতে পারেন অথবা তেল বা মাখন ব্যবহার না করে ডিম ভর্তা বানিয়ে খেতে পারেন।ডিম ভেজে খেলে ক্যালরি ও চর্বির পরিমাণ ৫০% পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন ঃশরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কার্যকরী উপায়
কাঁচা অথবা আধা সেদ্ধ ডিম খাওয়া
যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব কম এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হচ্ছে, তাদের ক্ষেত্রে কাঁচা বা পুরো সেদ্ধ না করে ডিম খাওয়া উচিত নয়।অর্থাৎ ডিম এমনভাবে রান্না করতে হবে যেন ডিমের কুসুম ও সাদা অংশ—দুটোই পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে শক্ত হয়ে যায়।কাঁচা ডিমে টাইফয়েডের জীবাণু থাকতে পারে, যা খাদ্যে বিষক্রিয়া বা ফুড পয়জনিং করতে পারে। তবে সম্পূর্ণভাবে সেদ্ধ বা রান্না হওয়া ডিম খেলে এই ঝুঁকি থাকে না।ফুড পয়জনিং এড়াতে ডিম পুরোপুরি রান্না করে খাওয়াই সবচেয়ে ভালো।
ডিম ও কোলেস্টেরল
রক্তে উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরল থাকলে হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। ডিমে কিছু মাত্রায় কোলেস্টেরল থাকে। তবে ডিমে থাকা কোলেস্টেরলের থেকেও আমরা কতটুকু স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাচ্ছি সেটি আমাদের রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রার উপর বেশি প্রভাব ফেলে।
আরও পড়ুন ঃ গরুর মাংসের কালা ভুনা তৈরির রেসিপি
ডাক্তার যদি আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রার প্রতি লক্ষ রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন, তাহলে আপনার উচিত হবে খাদ্যতালিকা থেকে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বাদ দেওয়া।
ডিম খাওয়া শুধুমাত্র তখনই কমাতে হবে যখন আপনার ডাক্তার অথবা পুষ্টি বিশেষজ্ঞ আপনাকে সুনির্দিষ্টভাবে ডিম খাওয়া কমানোর পরামর্শ দিবেন।