অলিভ অয়েল আর ডিমের কুসুম একসঙ্গে মিশিয়ে শ্যাম্পুর পর লাগিয়ে রাখুন চুলে। বাজারচলতি কন্ডিশনারের চেয়ে এই ঘরোয়া ব্যবহারে চুল ভালো হবে।
আবার ডিম সেদ্ধর পর সেই পানি ও ডিমের খোসা গুড়ো করে গাছের গোড়ায় দিন। ডিমের খোলা গাছের শরীরে ক্যালসিয়ামের জোগান বাড়াতে কার্যকর। পোকামাকড় থেকেও গাছকে বাঁচায় ডিমের খোসা।
রুপার গহনা কিছুদিন পর কালো হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। বাতাসের অক্সিজেনের প্রভাবেই এমনটা হয়। ডিম এই গয়নাগুলোকে পরিষ্কার করে ঝকঝকে করে দিতে পারে সহজেই।
ডিম অনেকক্ষণ ধরে সিদ্ধ করে নিতে হবে এ ক্ষেত্রে। এর পর খোসা ছাড়িয়ে দু’ভাগ করে কুসুম ছাড়িয়ে নিন। সেই কুসুম একটি ঢাকনাযুক্ত পাত্রে রেখে হাত দিয়ে ঝুরঝুরো করুন। এবার তাতে হালকা কোনো পেপার বিছিয়ে তার উপর রাখুন গয়নাগুলো। পাত্রের মুখের চার পাশে ময়দার প্রলেপ লেপে বায়ুনিরুদ্ধ করে বন্ধ করে দিন। দু’দিন পর সেই গয়নাগুলো বের করতে হবে। দেখবেন কালোভাব একেবারে উধাও। ডি-অক্সিডাইজার হিসেবে ডিমের এই ব্যবহার নানা গয়নাতেও ব্যবহার করা হয়।
আবার, দুর্ঘটনাবশত কেটে গেলে দেখা যায় অনেক সময় রক্ত বন্ধ হতে চায় না। এ সময় ডিমকে কাজে লাগান। সেদ্ধ ডিমের খোসা ও সাদা অংশের মাঝে যা পাতলা খোসা থাকে তা ছাড়িয়ে নিন। সেই খোসা ক্ষতস্থানে চেপে ধরে থাকলেই রক্ত বন্ধ হবে দ্রুত। এমনকি দ্রুত ক্ষতের দাগ মেলাতেও এটি বেশ কার্যকর।
পুরোনো জুতায় সাদা ঘোলাটে দাগ পড়ে যায়। ছত্রাকও জন্মাতে পারে। ডিমের সাদা অংশ কাপড়ে নিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করুন। এ ছাড়া, ময়দা, চিনি, ডিমের সাদা অংশ আর অল্প পানি মিশিয়ে তৈরি করা যায় আঠা।