আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ ফারিয়ার ভাষ্য, ‘ফিল্মস অ্যান্ড ফ্রেমস ডিজিটাল অ্যাওয়ার্ড’-এ আমার হাজির থাকার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে ঝুঁকি নিতে চাইনি। অবশেষে তারা ফোন করে ঢাকার বাসার ঠিকানা নিয়ে পুরস্কারটি পাঠিয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত। যেকোনো পুরস্কারই ভালো কাজের অনুপ্রেরণা যোগায়। আমি চেষ্টা করব আরও ভালো কাজ করার।
আগামী ২৮ জানুয়ারি (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। আর এখন এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই বিরাজ করছে এফডিসিতে উৎসবের আমেজ। আর এই নির্বাচনের জন্য এখন এফডিসিতে শিল্পীরা নিয়মিত ব্যস্ত তাদের নির্বাচনী প্রচারণায়। এরই অংশ হিসেবে ২৩ জানুয়ারি (রবিবার) এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে মিশা-জায়েদ প্যানেলে থাকা শিল্পীদের পরিচিতি নিয়ে।
তাদের প্যানেলে থেকেই কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে লড়ছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমী। যদিও গত বারের নির্বাচনে বর্তমান প্যানেলের বিপরীতে লড়েছিলেন। তবে জেতার মুখ দেখতে না পেরে এবার মিশা-জায়েদের প্যানেল থেকেই লড়ছেন।
প্রচারণার আজকের সন্ধ্যায় মিশা-জায়েদের প্যানেলে সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন ঢাকাই সিনোমর অন্যতম জনপ্রিয় খলনায়ক মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তাকে নিয়ে অনেক দিন পর কথা বলেন তিনি। ডিপজলের জন্যই মূলত তিনি মিশা-জায়েদ প্যানেলে যোগ দিয়েছেন।
এ ছাড়াও মৌসুমী আরও বলেছেন, ‘ভালোবাসার বিনিময় মূলত ভালোবাসা দিয়েই হয়। তাই সব সময় আমি সবার ভালোবাসা পেয়েছি। এখন আপনাদের কাছ থেকে যে ভালোবাসা আমি পেয়ে এসেছি বিগত দিনে, তা ফেরত কীভাবে দেব? এই প্রশ্নের উত্তরটি সবারই জানা থাকার কথা। অবশ্যই একটি মাধ্যম লাগবে, সেই মাধ্যমটিই হচ্ছে এই প্যানেল। এক্ষেত্রে ডিপজল ভাই আমার গুরুজন। তার ভালোবাসা তো আমি কখনও উপেক্ষা করতে পারব না। তাই ডিপজল ভাই চেয়েছেন আমি এই প্যানেলে থাকি, আমি ভালোবাসার টানে এসেছি। আর এটা হওয়াই উচিৎ। যখন কোনো সিনিয়র কোনো জুনিয়রকে কিছু বলবেন, তখন সেটা তাকে মানতেই হবে। কারণ আমি যদি সিনিয়রকে সম্মান করি, আমিও একদিন সম্মান পাব বলেই আমার বিশ্বাস।