জ্যামে বসে যে ভাবে টাইম কে কাজে লাগাবেন

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ লকডাউন আপাতত শিথিল। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে নারীরা বেরিয়েছেন শপিংয়ে, আর পুরুষেরা গরুর হাটে। ঈদে বাড়ি যাওয়ার সময় সম্ভাবনা রয়েছে তীব্র যানজটে পরার। জেনে নেওয়া যাক, জ্যামে বসে আপনি কীভাবে বিরক্ত না হয়ে কাটাতে পারেন ‘কোয়ালিটি টাইম’।

 

অনেকেরই নাকি জ্যামে ভালো ঘুম হয়। আবার গাড়ি চলতে শুরু করলে ঝাঁকুনিতে মাঝপথে ঘুমটা যায় ভেঙে। তাই কর্মস্থলে আসা–যাওয়ার মাঝে মানিব্যাগ আর ফোন সাবধানে রেখে ‘মিনি ঘুম’ দিয়ে দেন অনেকেই। তবে সাবধান, এটাই কিন্তু চোর আর মলম পার্টির মোক্ষম সময়।

 

জ্যামে বসে যা কিছু করা সম্ভব, তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ফেসবুক খুলে বসা। কে কী করছে, এই ফাঁকে অনেকেই দেখে নেন। আবার সেই ফাঁকে জানলা দিয়ে বাজপাখির মতো একটা হাত ছোঁ মেরে আপনার মোবাইল কেড়ে নিয়ে মুহূর্তেই ভিড়ের মধ্যে মিলিয়ে যায়, এটিও ঢাকা শহরের একটি পরিচিত দৃশ্য। তাই কোথায় বসেছেন, কোন এলাকায় আছেন, সেই এলাকার পরিবেশ কেমন, এসব বিবেচনায় নিয়ে সতর্ক হয়ে তবেই ডুব দিন মোবাইলে।

 

জ্যামে বসে আপনার নোটপ্যাডে বাজারের লিস্ট বানিয়ে ফেলতে পারেন। স্মার্ট ম্যানেজারে দুদিনের শিডিউলও তৈরি করতে পারেন। চেক করতে পারেন মেইল। নিজেও প্রয়োজনীয় মেইল পাঠাতে পারেন। আর পারেন মেইলের উত্তর দিতেও। বদলে ফেলতে পারেন প্রোফাইল পিকচার বা কভার ফটো।

 

মোরাল অব দ্য স্টোরি, ঢাকা শহরের জ্যাম সহজে যাওয়ার নয়। তাই তো এই লেখা গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণে জেনে নিন, জ্যামে বসে আরও কী কী করতে পারেন আপনি। গান শোনা একটা কমন অপশন। যেখানে যে কাজে যাচ্ছেন, সে–বিষয়ক পড়াশোনাও করে ফেলতে পারেন। অনেকে তো সঙ্গে রাখেন বই। সেরে ফেলতে পারেন প্রয়োজনীয় ফোনালাপ। সে ক্ষেত্রে অবশ্য পাশের মানুষটি বিরক্ত হচ্ছে কি না খেয়াল রাখুন। জ্যামে অনেকে দেশ, কাল, রাজনীতির গল্প জুড়ে দেন। অংশ নিতে পারেন সেখানেও। এমনকি অফিসের কাজও এগিয়ে রাখতে পারেন। যেমন এই লেখাটি জ্যামে বসেই লেখা।

Leave a Reply

Translate »