আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ জীবনের প্রথম খেলনা, স্কুলের প্রথম ইউনিফর্ম, প্রথম উপহার, বিয়ের শাড়ি, শখের ঘড়ি-এমন অনেক কিছুই আমরা স্মৃতি হিসেবে রেখে দিই। আমাদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন, যাঁরা ছোট ছোট এই জিনিস স্মৃতি হিসেবে সংগ্রহ করতে ভীষণ ভালোবাসেন। এমন জিনিস, যেগুলোর সঙ্গে ভালোমন্দ অনেক স্মৃতি জড়িয়ে থাকে। এটা অনেকের শখও। এখন আপনি যদি এমন ব্যক্তি হন, তাহলে জেনে নিতে পারেন কিছু বিষয়।
শোবার ঘরটি আপনার সবচেয়ে স্বস্তির স্থান। যেখানে আপনি আরামে কাটাতে পারেন আপনার মূল্যবান সময়। তাই এটিকে পরিপাটি রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শোবার ঘরের তাক বা আলমারিতে গুছিয়ে রাখতে পারেন স্মৃতির সব জিনিস। স্মৃতিবিজড়িত ছবিগুলো ফ্রেমবন্দী করে রাখতে পারেন ঘরের দেয়ালে। এতে আপনার ঘরের সৌন্দর্যও ফুটে উঠবে।
একটা গোছানো রান্নাঘর আপনার মনমেজাজ মুহূর্তেই ভালো করে দিতে পারে। তাই রান্নাঘরকে রাখুন জঞ্জালমুক্ত। রান্নাঘরের ক্যাবিনেটে সব জিনিসের সঙ্গে গুছিয়ে রাখতে পারেন বিয়েতে উপহার পাওয়া এমন সব সামগ্রী, যা আপনার বিশেষ আয়োজনে কাজে লাগে। আবার রান্নাঘরে রাখতে পারেন নিজ সংগ্রহে থাকা শিল্পকর্মের ছোঁয়া। কেননা, রান্নাও তো একটা শিল্প। এতে আপনার সংগ্রহের জিনিসটাও গুছিয়ে রাখা হলো আবার রান্নাঘরের সৌন্দর্যও বাড়বে কয়েক গুণ।
স্মৃতিগুলো সব সামনে চলে আসে বাড়ি গোছানোর সময়। তাই এক দিনে পুরো বাড়ি গোছানোর পরিকল্পনা না করাই উচিত। এতে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হবে না। কারণ, ঘর গোছাতে গিয়ে এমন সব জিনিস সামনে আসে, যা আপনার সময়কে থমকে দিতে পারে কিছু সময়ের জন্য। তাই একটা একটা করে কাজ নির্বাচন করা ভালো। একটা কাজ শেষে আরেকটা শুরু করুন। অন্তত গত ৫ বছর ব্যবহার করেননি, এমন সব জিনিস একসঙ্গে রাখুন এবং যাচাই–বাছাই করুন। স্কুলের বন্ধুদের চিঠি বা কলেজজীবনের কোনো পুরস্কার, যেটি বেশি প্রয়োজন, সেটি সামনে রাখুন আর যেটা দরকার নেই, সেটা বাক্সবন্দী করে রাখতে পারেন।
চাইলেই সবকিছু সব সময় জমিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। তাতে জায়গার সংকট দেখা দিতে পারে। তখন প্রয়োজনীয় জিনিসও হয়তো রাখা যাবে না। এ ক্ষেত্রে একটা নিয়ম অনুসরণ করা যেতে পারে। একই রকমের জিনিস একটা রেখে অন্যটা বাদ দেওয়া। কোন স্মৃতিটা রাখা বেশি জরুরি, তা নিয়ে ভাবুন এবং নির্বাচন করুন। এতে পরবর্তী সময়ে মন খারাপ হবে না। তবে ভাবনাটা সময় নিয়ে ভাব উচিত। তাড়াহুড়ো করা চলবে না।
ঘর গুছিয়ে রাখা যখন জরুরি, অতীত ধরে রাখা তখন ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। চাইলেই আপনি অনেক জিনিস ব্যবহার করতে পারবেন না, ফেলেও দিতে পারবেন না। কেননা এসব জিনিসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক স্মৃতি। এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার করতে পারেন। মানে, যেসব জিনিস একান্তই ফেলে দিতে হবে, সেগুলোর ছবি তুলে রাখা। যা অ্যালবাম করে রেখে দিন। ঘরও গোছানো হবে, আপনার স্মৃতিও রয়ে যাবে।
সবচেয়ে ভালো হয় আপনার সংগ্রহের জিনিসগুলোর জন্য আলাদা একটা স্থান নির্বাচন করুন। একটা আলাদা আলমারি। যেখানে সুন্দর করে গুছিয়ে রাখতে পারেন আপনার সংগ্রহের পছন্দের জিনিসগুলো। আর আপনার প্রতি সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সেগুলো খুলে বসতে পারেন। হারিয়ে যেতে পারেন অতীত ভালোলাগায়। এভাবে আপনার ঘরও পরিপাটি থাকবে আর চাইলেই খুব সহজে আপনি আপনার সংগ্রহের জিনিসগুলো খুঁজে পেতে পারেন।