আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ কলকাতার সুপারস্টার জিৎ। আজ (৩০ নভেম্বর) তার জন্মদিন। বিশেষ দিনে অনুরাগীদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন এই তারকা। তবে শুধু ভক্তই নন, শোবিজের অনেকেই তাকে ভালোবাসা জানিয়েছেন। কেননা, আজকের দিনটি শুধুই জিৎময়।
এই সুপারস্টারের জন্মদিন উপলক্ষে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে তারকা অভিনেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জির একটি লেখা প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে তিনি জিতের প্রতি তার ভালোবাসা, ভরসা ও কেমিস্ট্রির কথা জানিয়েছেন। তার সেই লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট’-এর কথা অজস্রবার শুনেছি। ছোট থেকে হিন্দি ছবিতে দেখেওছি। নায়ককে দেখেই নাকি নায়িকা প্রেমে পড়ে যায়। কখনও আবার উল্টোটা। ভাবতাম, এই প্রথম দেখায় প্রেম-টেম শুধু ছবিতেই হয়। আমার মতো সাধারণ মেয়ের সঙ্গে কি এসব হতে পারে! আমি তো আর ‘কভি খুশি কভি গম’-এর কাজল নই যে শাহরুখ আমাকে দেখেই প্রেমে এক্কেবারে হাবুডুবু খাবে! কিন্তু জিৎদা এসে আমার যাবতীয় ভাবনা, অবিশ্বাসকে এক লহমায় তছনছ করে দিয়ে চলে গেল। প্রথম দর্শনেই ধপাস করে ওঁর প্রেমে পড়ে গেলাম!
সে বহু বছর আগের কথা। তখন আমি স্কুলে পড়ি। শুনেছিলাম কোনো এক নতুন নায়কের ছবি আসছে। নাম ‘সাথী’। মা-বাবাকে রাজি করিয়ে ছুট দিয়েছিলাম প্রেক্ষাগৃহে। সেই সময়ে ঝাঁ চকচকে মাল্টিপ্লেক্স ছিল না। ছিল না কাউন্টার থেকে ভেসে আসা ক্যারামেল পপকর্ণের মিষ্টি গন্ধ। কাঠের শক্ত চেয়ারে বসে আলো-আঁধারি হলের পর্দায় প্রথম দেখেছিলাম জিৎদাকে। সেই যে দেখলাম, প্রেমে পড়ে গেলাম। ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট’। সেই প্রেম রয়েই গেল। তখনও কি জানতাম এই মানুষটার সঙ্গেই একদিন ছবি করব? তার নায়িকা হব?
জিৎদার সঙ্গে আমার সম্পর্ক শুধু পেশাদারি নয়। ও আমার খুব কাছের একজন বন্ধু। ওকে আমি শ্রদ্ধা করি। ভালোবাসি। মাঝেমধ্যে বলেও ফেলি, ‘জিৎদা আমি তোমাকে ভালোবাসি। আই লাভ ইউ। তোমায় যদি বিয়ে করতে পারতাম!’ জিৎদা আমার কথা শুনে হাসে। তার পর আমার পিঠে স্নেহের হাত রেখে বলে, ‘আই লাভ ইউ টু বাবু’। ওর মুখে এই কথা শুনে এখনও একজন ‘ফ্যানগার্ল’-এর মতোই আনন্দ পাই। অনেকেই ‘আওয়ারা’ দেখে আমার সঙ্গে জিৎদার রসায়নের প্রশংসা করেন। আমি বলি, জিৎদার প্রতি আমার মনে যে প্রেম আছে, সেই প্রেমই মনে হয় পর্দায় ফুটে উঠেছিল!
জিৎদার থেকে অনেকেই অনেক কিছু শিখতে পারেন। কিন্তু নারীকে কীভাবে সম্মান করা উচিত, সেটা বোধ হয় ওকে দেখলে সব থেকে ভালোভাবে শেখা যায়। পেশাগত জীবনের বাইরেও কোনো সমস্যায় পড়লে আমি জিৎদার কাছে ছুটে যাই। ওঁর থেকে পরামর্শ চাই। কারণ জিৎদা কখনও মন ভোলানো কথা বলে না। আমি যেটা শুনে আনন্দ পাব, ও সেটা বলবে না। বরং যেটা করলে আমার ভালো হবে, ও আমাকে সেটাই করতে বলবে। এ রকম নির্ঝঞ্ঝাট, সৎ, কাজপাগল মানুষ আমি জীবনে খুব কম দেখেছি। ওঁর জন্মদিনে আরও একবার বলব, এই মানুষটাকে আমি সত্যিই খুব ভালোবাসি।