কৌতুক অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম।‘কমলা রকেট’ চলচ্চিত্রে জাতীয় পুরস্কার এর জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন। তার এই পুরস্কার পাওয়া নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা চলছে ঘোষণা আসার পর থেকেই।
তিনি বলেছেন, ‘কমলা রকেট’ চলচ্চিত্রে তাঁর চরিত্রটি কমেডি বা কৌতুক চরিত্র নয়। এটি প্রধান চরিত্রগুলোর একটি। তিনি জুরি বোর্ডের অনুরোধ করেছেন, ‘শ্রেষ্ঠ অভিনেতা কৌতুক চরিত্রে’ জন্য বরাদ্দ করা পুরস্কারটা প্রত্যাহার করে নিতে। না হলে তাঁর পক্ষে এই পুরস্কার গ্রহণ করা সম্ভব নয়।
নিজের ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়েছেন মোশাররফ করিম। সেখানে তিনি লিখেছেন, “সকলের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, গত ৭ নভেম্বর দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৮ সালের পুরস্কার প্রাপ্তদের তালিকায় আমি নিজের নামও দেখতে পেয়েছি। নুর ইমরান মিঠু পরিচালিত “কমলা রকেট” চলচ্চিত্রের জন্য আমাকে “শ্রেষ্ঠ অভিনেতা কৌতুক চরিত্রে” পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। ধন্যবাদ সংশ্লিষ্টদের। কিন্তু এই পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে আমার কিছু কথা রয়েছে। তার আগে সবাইকে অবগত করতে চাই, কৌতুকপূর্ণ বা কমেডি চরিত্র আমার কাছে অন্যসব চরিত্রের মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ।”
“কিন্তু ‘কমলা রকেট’ চলচ্চিত্রে আমি যে চরিত্রে অভিনয় করেছি সেটি কোনোভাবেই কমেডি বা কৌতুক চরিত্র নয়। ছবিটির চিত্রনাট্যকার, পরিচালকসহ সহশিল্পীরা নিশ্চয় অবগত আছেন। একই সঙ্গে যারা ছবিটি দেখেছেন তারাও নিশ্চয় উপলব্ধি করেছেন কমলা রকেট-এ আমার অভিনয় করা ‘মফিজুর’ চরিত্রটি কোনো কৌতুক চরিত্র নয়। এটি প্রধান চরিত্রগুলির একটি।”
“তাই, সম্মানিত জুরি বোর্ডের কাছে আমার অনুরোধ, ‘শ্রেষ্ঠ অভিনেতা কৌতুক চরিত্রে’ আমার জন্য বরাদ্দ করা পুরস্কারটা প্রত্যাহার করে নিলে ভালো হয়। না হলে আমার পক্ষে এই পুরস্কার গ্রহণ করা সম্ভব নয়। আমি কাজটাকে ভালোবেসে আমৃত্যু কাজ করে যেতে চাই। আমার ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সকলের কাছে আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া চাই। একই সঙ্গে যারা পুরস্কার পেয়েছেন সবাইকে অভিনন্দন জানাই।”
মোশাররফ করিম বলেন, “এই মুহূর্তে আমি ব্যক্তিগত কাজে দেশের বাইরে অবস্থান করছি। তাই লিখিতভাবে সবাইকে জানানো হলো। আশা করছি পরিস্থিতি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।”
২০১৮ সালের চলচ্চিত্র কমলা রকেট-এ অভিনয় করে সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করছেনে মোশাররফ করমি। যৌথভাবে ‘পবিত্র ভালোবাসা’ ছবির জন্য একই ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন আফজাল শরীফ।