আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃশুষ্ক চোখের সমস্যা তখনই দেখা যায় যখন চোখের পৃষ্ঠের উপর পর্যাপ্ত তৈলাক্তকরণ, পুষ্টি এবং আর্দ্রতার অভাব ঘটে। চোখ যখন তৈলাক্ত থাকার জন্য যথেষ্ট অশ্রু তৈরি করতে অক্ষম হয় বা অশ্রুর মান খুব খারাপ হয় এবং খুব দ্রুত বাষ্পীভূত হয়, তবে তা চোখের শুষ্কতা, জ্বালা, প্রদাহ এবং বিবর্ণ দৃষ্টির সৃষ্টি করতে পারে|
চোখের শুষ্কতার প্রতিকার:
১. ভিটামিন ডি: ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। ভিটামিন ডি সম্পন্ন খাবার শুষ্ক চোখের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করতে পারে। ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ কিছু খাবার হল ডিমের কুসুম, আখরোট, পনির, ফ্যাটি মাছ যেমন স্যামন বা টুনা, বাদাম এবং বীজ।
২. ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলুন: যদি একটানা কাজ করতে করতে থাকেন তাহলে মাঝে মাঝে বিরতি নিয়ে ঘন ঘন চোখ খোলা বন্ধ করুন। বিশেষ করে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন বা টেলিভিশন দেখার সময় বিরতি দেয়ার চেষ্টা করুন। মাঝে মাঝে বিরতি আপনার চোখের আর্দ্রতা ফিরে পেতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুনঃ পোকামুক্ত সবজি কিনতে জেনে রাখুন ৫ ম্যাজিকাল ফর্মুলা
৩. পরিবেশ পরিবর্তন করুন: শুষ্ক চোখের সমস্যায় পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সিগারেটের ধোঁয়া এড়িয়ে চলা উচিত। সিগারেটের ধোঁয়ায় চোখ চোখ লাল হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও, যখন আপনি সাইকেল চালাচ্ছেন বা স্কিইং করছেন তখন চশমা ব্যবহারের মাধ্যমে বাতাস থেকে আপনার চোখ রক্ষা করুন। নিয়মিত সানগ্লাস পরুন।
৪. তরল খান প্রচুর পরিমাণে: সারা দিন প্রচুর পরিমাণে তরল পদার্থ পান করুন। এই তরল শুষ্ক চোখের উপসর্গ উপশমে সাহায্য করবে। পানি ছাড়াও তাজা ফলের রস, নারকেলের পানি এবং সাধারণ স্মুদি খেতে পারেন।
৫. গরম সেঁক: চোখকে আরাম দেওয়ার জন্য চোখে হালকা গরম সেঁক দিতে পারেন। প্রতিদিন এই দুই থেকে তিন বার সেঁক দিন।
৬. পর্যাপ্ত ঘুম: ঘুম কম হলেও চোখ শুষ্ক চোখ হতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম কর্নিয়ার আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। অতএব, প্রতিদিন ছয় থেকে আট ঘণ্টার ঘুম নিশ্চিত করুন।
যদি চোখ অনেক বেশি শুকিয়ে যায় অথবা চোখে কোনো সমস্যা হয়, কখনোই অবহেলা করা যাবে না। অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।