চুমু কেবলমাত্র প্রেম-ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম নয়। এর কিছু স্বাস্থ্যগত বিষয় রয়েছে। বেশি করে চুমু খাওয়ার মাধ্যমে আপনি ও আপনার সঙ্গী থাকতে পারেন সুস্থ ও সবল। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যে, শুধু মানসিক বিষয়ই নয়, ব্যাপক মাত্রায় শারীরিক বিষয়ের সঙ্গে জড়িত রয়েছে চুমু। জেনে নিন চুমুর উপকারিতা-
১. চুমু মানুষের চেহারায় তারুণ্য ভাব বজায় রাখে। যদিও এর কারণে শরীরের কিছু ক্যালোরি ক্ষয় হয় তারপরও এটি মানুষের শরীরের জন্য খুব উপকারি।
২. নিয়মিত চুম্বন দাঁতের ক্ষয়রোধ করে।
৩. চুমু খাওয়ার ফলে শরীরের অক্সিটোসিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে স্নায়ু শান্ত হয়।
৪. চুমু খাওয়ার সময় হৃৎপিণ্ড অধিক সক্রিয় হয়ে ওঠায় ব্যায়ামও হয়। ফলে রক্তচাপ ও রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়।
৫. যারা নিয়মিত চুমু খান, তাদের অনিদ্রার সমস্যা হয় না।
৬. চুম্বনে মানসিক চাপ কমে যায় অনেকখানি, এমনটাই বলছে বিজ্ঞানীরা। শারীরিক অনুশীলন করার মতোই চুমু শরীরে ‘হ্যাপি হরমোন’ নিঃসরণ করে। এ সেই হরমোন, যা আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবৃত্তি কমিয়ে দেয়।
৭. যৌন মিলন যে স্বামী-স্ত্রীকে শারীরিক আনন্দ দেয় এটি নতুন করে বলার কোনো প্রয়োজন পড়ে না। তবে চুমু তাদের আনন্দকে আরো বাড়িয়ে দেয়।
৮. চুমুর সময় মস্তিষ্কে ডোপামিন আর সেরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ হতে থাকে, যা অবসাদ ও দুশ্চিন্তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে।
৯. চুমুর সময় আইজিই অ্যান্টিবডি হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, হিস্টারিন হরমোনের ক্ষরণও কমে যায়। ফলে অ্যালার্জির প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
১০. একটি সমীক্ষার পর মার্কিন বিজ্ঞানীরা দাবি করেন, যারা নিয়মিত অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে চুমু খান, তাদের প্রতি মিনিটে প্রায় ২ থেকে ৩ কিলোগ্রাম ক্যালোরি বার্ন হয়।