সময়ের আলোচিত ও সমালোচিত বলিউডের ‘কুইন’ খ্যাত নায়িকা কঙ্গনা রানাওয়াত বিরুদ্ধে বারবার আদালতের আদেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মামলার শুনানি ছিল। অন্য শুনানির মতো সেদিনও আদালতে হাজির হননি কঙ্গনা। তাই মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। এদিনও যদি অভিনেত্রী আদালতে হাজির না হন, তাহলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে পারে। গ্রেপ্তার হতে পারেন তিনি।
আন্ধেরির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে কঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন জাভেদ আখতার। এরপর সেই মামলা খারিজ করতে বোম্বে হাইকোর্টে আবেদন করেন কঙ্গনা। তবে নায়িকা সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। একই সঙ্গে ১৪ সেপ্টেম্বর উভয়কে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
এদিন সকালে স্ত্রী শাবানা আজমির সঙ্গে আদালতে হাজির হন জাভেদ আখতার। কিন্তু দেখা মেলেনি কঙ্গনার। তার আইনজীবীর দাবি, নতুন ছবি ‘থালাইভি’ প্রচারে ব্যস্ত তিনি। এছাড়া সর্দি জ্বরে আক্রান্ত কঙ্গনা। করোনার কিছু লক্ষণ রয়েছে তার শরীরে। সে কারণে আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি।
অন্যদিক জাভেদ আখতারের আইনজীবী দাবি করেন, কঙ্গনা রানাওয়াত এই মামলার রায় পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বারবার নোটিশ পাওয়া সত্ত্বেও তিনি হাজির হচ্ছেন না।
এমতাবস্থায় জাভেদ আখতারের আইনজীবী আদালতে আবেদন করেন যে, পরবর্তী শুনানির দিন যদি কঙ্গনা আদালতে উপস্থিত না হন, তাহলে তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করুক আদালত। তার আবেদন অনুযায়ী কঙ্গনাকে সতর্ক করে ২০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে একটি সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা দাবি করেন ঋত্বিক রোশনের সঙ্গে তার সম্পর্ক এবং ব্যক্তিগত মেইল ফাঁস হওয়া নিয়ে যে মামলা মোকদ্দমা চলছে, সেখানে হস্তক্ষেপ করেছেন জাভেদ আখতার। তিনি নাকি কঙ্গনাকে হুমকি দিয়েছিলেন, ঋত্বিকের পরিবার খুব প্রভাবশালী, তাদের সঙ্গে ঝামেলায় না জড়াতে।
এই দাবির পর জাভেদ আখতারকে উদ্দেশ্য করে ওই সাক্ষাৎকারে বেশ আপত্তিকর মন্তব্য করেন কঙ্গনা। প্রবীণ গীতিকারকে ‘বলিউড মাফিয়া’ বলে কটাক্ষও করেন। এর পরই কঙ্গনার নামে আন্ধেরির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মানহানির মামলা ঠুকে দেন জাভেদ আখতার।