আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ ইতোমধ্যে মুক্তি পেয়েছে বহু প্রতীক্ষিত ও আলোচিত ইতিহাসনির্ভর ছবি ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’। বলিউড খিলাড়ি অক্ষয় কুমার এবং বিশ্ব সুন্দরী মানুষী চিল্লার অভিনীত এ ছবিকে ঘিরে নির্মাতা থেকে দর্শকের যেন প্রত্যাশার কোনো অন্ত ছিল না। দীর্ঘ সময় ধরে তৈরি হয়েছে এ ছবি। তবে এত প্রচারের পর কি প্রত্যাশা অনুযায়ী শুরুটা করতে পারল ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’?
তা ছাড়া জানা যায়, মুক্তির প্রথম দিনে ছবিটি বেশ ভালোই ব্যবসা করেছে। বক্স অফিসে ১২.৫ কোটি রুপি ব্যবসাও করল ইতিহাস সমৃদ্ধ এ চলচ্চিত্রটি। যেকোনো সিনেমার মুক্তির প্রথম দিনে এবং প্রথম সিন থেকে দর্শকের নজর এমনভাবে ক্যাপচার করে নেয়া দরকার, যাতে চরম উৎসাহে বাকি ছবিটি দেখে ফেলবেন তারা। কেননা, প্রথম সিন থেকে যদি হতাশ হওয়া থেকে বাঁচিয়ে নেয়া যায়, তাহলে সিনেমাটির চিত্রনাট্য়ের পরবর্তী অংশ অনেকটাই সুবিধার হয়ে ওঠে দর্শকমনে। সম্রাট পৃথ্বীরাজ শুরুতেই ছিল এক ড্রামাটিং অ্যাকশন সিক্যুয়েন্স দিয়ে। এতে গজনীর মোহাম্মদ ঘোরিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন সম্রাট পৃথ্বীরাজ। এরপর ছবির বাকি অংশে ফুটে ওঠে মানুষ পৃথ্বীরাজ, রাজা পৃথ্বীরাজের সফরনামা। সব মিলিয়ে শুরু থেকেই কাহিনি বিন্যাসের মধ্য দিয়ে দর্শকের নজর আটকে রাখতে সক্ষম হয় সিনেমাটি।
এদিকে চলচ্চিত্রে ব্যবসায়িক সাফল্যের দিক বিবেচনায়, সম্রাট পৃথ্বীরাজ প্রথম দিন বক্স অফিসে প্রায় ১২.৫ কোটি সংগ্রহ করেছে, যা পরদিন ১৩ কোটি টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। চলচ্চিত্রটি যশ রাজ ফিল্মসের মতো একটি বড় ব্যানার এবং অক্ষয় কুমারকে মুখ্য ভূমিকায় নিয়ে তৈরি হয়। চলচ্চিত্রটি বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০০০ স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে এবং হোম মার্কেটে ৩৭৫০ স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে। অক্ষয় কুমারের সাম্প্রতিক চলচ্চিত্র সূর্যবংশী এবং বচ্চন পান্ডে থেকে ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’ ব্য়বসায়িক সফলতা অনুযায়ী পিছিয়ে। দ্বিতীয় দিনে সিনেমাটির আয় প্রথম দিনের তুলনায় কম। মাত্র ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তা ছাড়া ফিল্মটি ভবিষ্যতে জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: ডোমিনিয়ন সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মুখোমুখি হবে বলে জানা যায়।
এবার অভিনয় প্রসঙ্গে যদি বলতে হয়, তবে বলা যেতেই পারে ঐতিহাসিক চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে মিলিয়ে দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গেছেন অভিনেতারা। এ ছবি যতটা অক্ষয় কুমারের, ঠিক তেমনই সোনু সুদ ও সঞ্জয় দত্তের। নতুন নায়িকা হিসেবে যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন মানুষী চিল্লারও। সব মিলিয়ে সব তারকাই নিজেদের অভিনয়ের দক্ষতা তুলে ধরেছেন চিত্রনাট্যে। তবে প্রশ্ন উঠেছে, মনোজ যোশী, আশুতোষ রানা ও সাক্ষী তানওয়ারের মতো এমন দক্ষ অভিনেতাদের কেন ব্যবহার করা হলো না। তাদের আরও সুযোগ দেয়ার দরকার ছিল।