পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে দেখা মিলল আরও একটি মৃত ডলফিন। এর দৈর্ঘ্য তিন ফুট। এর আগে সকালে আট ফুট দৈর্ঘ্যের একটি মৃত ইরাবতি ডলফিন সৈকতে ভেসে আসে।
শুক্রবার (২০ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে সৈকতের ঝাউবন পয়েন্ট সংলগ্ন স্থানে ডলফিনটি দেখতে পান ব্লু গার্ডের সদস্যরা। পরে জলজ এ প্রাণীটিকে মাটিচাপা দেয়া হয়।
ইকোফিশ-২ প্রকল্পের পটুয়াখালী জেলার সহকারী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, সকালে সৈকতে একটি মৃত ডলফিন ভেসে আসার খবরে আমি আমার টিমের (ব্লু গার্ড) সদস্যদের নিয়ে সেখানে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ আমাদের এক গার্ডের চোখে পড়ে সৈকতে একটি মৃত ডলফিন পড়ে আছে। পরে আমি কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বিষয়টি জানাই। তার নির্দেশে এটাকে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়।
কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, সকালে যে ডলফিনটি পাওয়া যায় তার দৈর্ঘ্য আট ফুট। আর বিকেলে যেটা পাওয়া গেছে তার দৈর্ঘ্য তিন ফুট। এটি একটি ইরাবতি বাচ্চা ডলফিন।
তিনি আরও জানান, জোয়ারের সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে প্রায়ই মৃত ডলফিন ভেসে আসে। এদের মুখে রক্ত দেখা যায়। আঘাতের চিহ্নও পাওয়া যায়। তবে সমুদ্রে যেসব জেলে মাছ শিকারে যান তাদের ট্রেনিং দিলে ডলফিনের মৃত্যু কমে আসতে পারে আমার ধারণা।
কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ঠিক কী কারণে ডলফিনগুলো মারা যাচ্ছে তা বলা যাচ্ছে না। এ ধরনের ডলফিনগুলো মাছ খেয়ে বেঁচে থাকে। তাই বেশিরভাগ সময় জেলেদের মাছ ধরার জালে আটকে পড়ে মারা যায়। আবার বয়সের কারণেও অনেক সময় এদের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর ওরা জোয়ারের পানিতে তীরে চলে আসে।