কানাডায় উচ্চশিক্ষায় আসার সময় যেসকল প্রস্তুতি প্রয়োজন

 

আইকোনিক ফোকাসঃ কানাডায় উচ্চশিক্ষায় যে যে ডকুমেন্টস সঙ্গে আনবেন, তার একটি চেক লিস্ট আগে থেকে করে নিবেন। 

১.পাসপোর্টের ভ্যালিড আছে কি না, তা খেয়াল রাখবেন। পাসপোর্টের মেয়াদ ছয় মাসের কম হলে উড়োজাহাজে উঠতে পারবেন না। আপনার আসার আগে যদি দেখেন ছয় মাসের বেশি সময় আছে, তাহলে ঝুঁকি নিয়ে নবায়ন করার চিন্তা না করাই ভালো। কানাডার বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পোস্টে পাসপোর্ট পাঠিয়ে তা নবায়ন করা যায় কানাডার যেকোনো জায়গা থেকে।

২.পাসপোর্টে কানাডার ভিসার সঙ্গে যদি কোনো অ্যাপ্রুভাল লেটার থাকে, তাহলে সেটি নিয়ে আসবেন।

৩.কানাডার ইউনিভার্সিটি থেকে যে অফার লেটার পেয়েছিলেন, সেটি সাথে রাখবেন।

৪.আপনার যে ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও ট্যাক্সের ডকুমেন্টস ভিসা ফাইল সাবমিট করার সময় জমা দিয়েছিলেন, তা সঙ্গে রাখবেন।

৫.ভিসার সময় যে শিক্ষাগত সার্টিফিকেটগুলো জমা দিয়েছিলেন, তা নিয়ে আসবেন।

৬.বাংলাদেশে যদি কোনো চাকরি বা কোনো জায়গায় স্বেচ্ছাসেবক বা কোনো সংগঠন করে থাকেন, সেই অভিজ্ঞতার সনদ নিয়ে আসবেন।

আরো পড়ুনঃ কোরআন অবমাননার ঘটনায় সুইডিশ কূটনীতিককে তলব


৭.আপনার যদি বাংলাদেশের ন্যাশনাল আইডি কার্ড থাকে, তাহলে সেটি নিয়ে আসবেন। যদি না থাকে, তাহলে দরকার নেই।


৮.জন্মনিবন্ধনের কাগজটি সঙ্গে রাখা ভালো।


৯.বাংলাদেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে সেটা আনতে হবে।


১০.যাঁরা স্পাউস নিয়ে আসবেন, তাঁদের ম্যারেজ সার্টিফিকেট ও নিকাহনামার কাগজটি আনা ভালো।

স্টুডেন্টদের যদি ডিপেনডেন্ড চাইল্ড থাকে, তবে তার এবং আপনার টিকার কার্ড সঙ্গে আনবেন। যদি এই ডকুমেন্টটি বাংলাতে করা থাকে, তাহলে যেকোনো ডাক্তারের প্যাডে ইংলিশে নিলে স্বাক্ষর ও সিল দিয়ে আনবেন।


১২.আপনার আইইএলটিএসের ডকুমেন্টগুলো সঙ্গে রাখবেন।

১৩.ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার সময় আপনার হেলথ ইনস্যুরেন্স করা হয়ে থাকলে সেই ডকুমেন্টটি আনবেন। হেলথ ইনস্যুরেন্স না থাকলে কানাডায় এক দিনও থাকা নিরাপদ নয়। কারণ, এখানকার চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল, তাই আসার আগে ইনস্যুরেন্স করে আসবেন।

১৪.ইউনিভার্সিটি আপনাকে ভর্তি হওয়ার সময় যে যে ডকুমেন্টগুলো দিয়েছে, সেগুলো আনতে হবে।

১৫.বাড়িভাড়ার ডকুমেন্ট বা হোটেল বুকিংয়ের ডকুমেন্টটি সঙ্গে আনবেন, ভিসা অফিসার তা দেখতে চাইতে পারেন।

১৬.প্লেনের টিকিটটি সব সময় হাতের কাছে রাখবেন।


১৭.আপনার যদি কোনো পুরোনো অসুখ থাকে, সে অসুখ যদি আবার হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে আগের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার ডকুমেন্টগুলো আনতে ভুলবেন না। যদি কোনো ওষুধ নিয়মিত খেয়ে থাকেন, তবে তার প্রেসক্রিপশন সঙ্গে রাখা ভালো।

সব ডকুমেন্টসের হার্ডকপি আনতে হবে। এর পাশাপাশি সব কাগজের কপি গুগল ড্রাইভে রেখে দিবেন। তা ছাড়া আরও একটি ব্যাকআপ হিসেবে এ ডকুমেন্টসগুলো একটি পেনড্রাইভে করে আনা ভালো। কানাডায় আসার পর আপনি এখানে অপরিচিত, কানাডাও আপনার কাছে অপরিচিত। সে ক্ষেত্রে আপনার এ ডকুমেন্টগুলোই আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিবে কানাডার সঙ্গে। 

Leave a Reply

Translate »