বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। নেই কোন প্রতিরোধক বা প্রতিশোধক। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে সারা বিশ্বে প্রায় ১৮ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমিত হয়েছেন ৪ লাখ ২৩ হাজার মানুষ। ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত। এমন কি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থাও। এছাড়াও বন্ধ করা হয়েছে সিনেমা হল, শুটিংসহ শোবিজ অঙ্গনের সব ধরনের কার্যক্রম।
তবে এতো কিছুর মাঝেও চলছে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ ছবির শুটিং। চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই সুন্দরবন এলাকায় শুটিং করছেন সিয়াম, পরীমনিসহ প্রায় ৫০ জনের একটি ইউনিট।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শুটিং চালিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে ছবির নির্মাতা আবু রায়হান বলেন, ‘আমাদের ফোনে ঠিকমত নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। তাই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আমরা জানতে পারিনি। আজ সন্ধ্যায় আমরা সবাই বসবো। এরপর সিদ্ধান্ত নেব কী করা যায়।’
এদিকে, দেশের এমন পরিস্থিতিতে শুটিং চালিয়ে যাওয়া দায়িত্বহীনতার পরিচয় উল্লেখ করে পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘সমিতি থেকে নিষেধ করা বা না করার কি আছে। এমন পরিস্থিতিতে শুটিং করতে যাওয়াটাই তো ঠিক হয়নি। তাদের স্বেচ্ছায় শুটিং বন্ধ করে দেওয়ার দরকার ছিল। যতদূর জানি, এই ছবি ছাড়া আর কোথাও কোনো ছবির শুটিং হচ্ছে না।’
প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা ছবির প্রযোজক এবং পরিচালকদের জানিয়েছি। তাদের বলেছি, এতে ২৫টি শিশুশিল্পীসহ অভিনয়শিল্পীদের বড় একটা গ্রুপ আছে। এ ধরনের সংকটময় পরিস্থিতিতে ইউনিটের কেউ যদি করোনায় সংক্রমিত হন, তাহলে পুরো দায়-দায়িত্ব নিতে হবে ছবির প্রযোজক ও পরিচালককে।’
সরকারি অনুদানের নির্মিত ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ ছবিতে সিয়াম-পরীর পাশাপাশি অভিনয় করছেন কমপক্ষে ২৫ জন শিশুশিল্পী। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ‘নসু ডাকাত কুপোকাত’ নামে সরকারি অনুদান পায় এর পাণ্ডুলিপি। তবে পরে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’।