জানা গেছে, এই লেন্স চোখের চাহিদামাফিক কাজ করবে। প্রয়োজনে যেমন তাৎক্ষণিকভাবে জুম ইন হবে, আবার চোখের চাহিদামাফিক জুম আউট করে দেবে। গবেষণাটি সম্পন্নের পর চলতি মাসেই তার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
সচরাচর ব্যবহৃত চশমাগুলো সেকেলে হয়ে যাওয়ার সময় চলে এসেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা নতুন এক ধরনের কন্টাক্ট লেন্স আবিষ্কার করেছেন, যেগুলো একইসঙ্গে জুম ইন ও জুম আউট করতে সক্ষম। ফলে নাকের উপর আর বড় আকারের চশমা নিয়ে ঘুরতে হবে না চোখে সমস্যা থাকা ব্যক্তিদের। নতুন লেন্স ব্যবহার করে দূরের বস্তু যেমন জুম করে বড় আকারে দেখা যাবে; আবার জুম আউট করাও সম্ভব হবে চোখের ইশারায়।
তবে গবেষকরা এখনই প্রচলিত চশমা বিদায় নেওয়ার সময় এসেছে বরে মনে করছেন না। প্রাথমিকভাবে এই কন্টাক্ট লেন্স স্বল্প পরিসরে ব্যবহার করা হবে। বিশেষ করে রোবটে এই কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহারের কথা বলছেন তারা।
দীর্ঘ গবেষণা ও পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বিবেচনা করা যাবে যে, সেটি মানুষের চোখে লাগানো যাবে কিনা। গবেষকদের দাবি, এই কন্টাক্ট লেন্স সার্বক্ষণিক শারীরিকভাবে তৈরি হওয়া নির্দেশনা অনুসরণ করে চলবে। মানুষ যখন ঘুমাবে, এই লেন্স তখন ঘুমের মোডে চলে যাবে। আবার ঘুম থেকে উঠলে সক্রিয় হয়ে যাবে।