আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ ঐতিহ্যবাহী বিয়ের পোশাক আর মেকআপে লাল না থাকলে চলেই না। এমনটাই মনে করেন উইমেন’স ওয়ার্ল্ডের প্রধান নির্বাহী, কনার স্বত্বাধিকারী ও রূপবিশেষজ্ঞ ফারনাজ আলম। আসছে শীতকাল। আর বাংলাদেশে শীতকালে বিয়ের ধুম পড়ে যায়। সেটিকেই মাথায় রেখে সম্প্রতি তিনি বউ সাজিয়েছেন এক মডেলকে।
দেশীয় ঐতিহ্যবাহী বিয়ে মানেই লালের ছড়াছড়ি। এখানেও ফারনাজ আলম লাল সালোয়ার-কামিজ পরিয়েছেন মডেলকে। পোশাকটি ফ্যাশন ডিজাইনার সারাহ করিমের। চোখের ওপর ছিল ব্রোঞ্জ রেড আর সোনালি আইশ্যাডো। ঠোঁটেও দিয়েছেন টকটকে লাল লিপস্টিক। আর মাথায় সাধারণ বিয়ের খোঁপা। ফারনাজ বলেন, ‘আমি এটাকে যথাসম্ভব সিম্পল রাখার চেষ্টা করেছি। কেউ যদি চায়, খোঁপায় বেলি বা গোলাপ জড়াতে পারেন। নাকে আমি কিছুই পরাইনি। চাইলে কেউ এখানে টানা নথ বা ট্র্যাডিশনাল নাকফুলও পরতে পারেন।
মডেল সামিরা খান মাহিকে সাজাতে তিনি মাত্র ৪৫ মিনিট সময় নিয়েছেন বলে জানান ফারনাজ। বলেন, কত অল্প সময়ে পূর্ণাঙ্গ বউয়ের সাজ শেষ করা যায়, সেটিই দেখানোর চেষ্টা ছিল। ইচ্ছা করেই লাল কাতান শাড়ি পরাননি। ফারনাজ আরও বলেন, ‘অনেক ধরনের বউয়ের সাজ হয়-ট্র্যাডিশনাল, ট্রেন্ডি, ফিউশন। আমি ঠিক বাঙালিয়ানা বউ করিনি। অনেকে আবার বিয়েতে পুরোপুরি সাদা পরে। ফুল হোয়াইট লেহেঙ্গা, রুপালি বা ব্রোঞ্জ বেইজড মেকওভার, আমি সেগুলো কিছুই করিনি। আমি ঐতিহ্যবাহী বউয়ের লুকেই একটু ভিন্নতা আনার চেষ্টা করেছি। অর্নামেন্টও মিনিমাল রেখেছি।
অনেক সময় দেখা যায়, সবাই অপেক্ষা করছেন। বউয়ের আর খোঁজ নেই। পারলারে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ফুল আনতে পাঠানো হয়েছে একজনকে। ফুল নিয়ে আসার পর দেখা গেল, যে ফুল আনা হয়েছে, তা ঠিক মানাচ্ছে না। মনের ভেতর একটা খুঁতখুঁতানি রয়েই গেল। সেই অস্বস্তি বিয়ের দিনজুড়ে রইল। তাই হবু বউদের উদ্দেশে ফারনাজ বলেন, ‘বিয়েতে কে কী বলল, তার চেয়ে নিজে নিজেকে কীভাবে দেখতে চান, সেটিই গুরুত্বপূর্ণ। চোখ বন্ধ করুন। নিজেকে দেখুন। ডিটেইলস ঠিক করে ফেলুন। আগে থেকে সব পরিকল্পনা করা থাকলে দেরি হওয়ার কোনো কারণ নেই। যে বিয়ের সাজেই সাজুন না কেন, দুই ঘণ্টার বেশি লাগবে না কিছুতেই।
ফারনাজ বলেন, সারা জীবন নিজের বিয়ের অনুষ্ঠান রোমন্থন করার মতো স্মৃতি তৈরি করা সবচেয়ে জরুরি। তাই পারলারে দেরি হওয়া মানে দিনটাতে স্মৃতি তৈরির সময় খুইয়ে ফেলা। সারাটা দিনের ওপর একটা চাপ পড়ে। তাই বিয়েতে বেজটা হালকা রেখে সারা দিন আনন্দে কাটানো, সুন্দর ছবি তোলা জরুরি, যাতে পরে সেসব ছবি দেখে নিজের ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে ওঠে।