আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ সামনেই ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তার আগে এশিয়ান ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট আসর এশিয়া কাপ মিশনে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। তবে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬৬ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে বড় ব্যবধানে পরাজয় বরণ করেছে সাকিব আল হাসানের দল।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরাজয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে যাওয়ার আশা অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে বাংলাদেশের। যদিও কাগজে কলমে এখনও টিকে আছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। তাই টাইগার সমর্থকদের মনে প্রশ্ন উঠছে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরাজয়ের পরেও সুপার ফোরে কিভাবে যেতে পারবে বাংলাদেশ দল?
এবার এশিয়া কাপের অংশ নিয়েছে ছয়টি দল। ফলে গ্রুপ পর্বে মাত্র দুইটি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে দলগুলো। এখন পর্যন্ত দুই গ্রুপের একটি করে মোট ২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলেও দুই দল এখনও মাঠেও নামেনি। তবুও গ্রুপ পর্বে এখনো চার ম্যাচ বাকি থাকলেও শুরু হয়ে গেছে সমীকরণের হিসেব নিকেশ।
আরো পড়ুনঃআফগানিস্তান মিশনে পাকিস্তান যাচ্ছে টাইগাররা
এবার গ্রুপ ‘বি’তে বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ‘বি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে বড় ব্যবধানে হারানোয় সুপার ফোরে এক পা দিয়ে রেখেছে আসরের সহ-আয়োজক শ্রীলঙ্কা। আর প্রথম ম্যাচেই হেরে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।
এখন সুপার ফোরে জায়গা পেতে হলে কঠিন সমীকরণ মেলাতে হবে বাংলাদেশকে। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাঁচামরার লড়াইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প কোন পথ নেই। জিতলে সুপার ফোরের আশা বেঁচে থাকবে, সে সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে শ্রীলঙ্কার ও আফগানিস্তানের মধ্যকার দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচের দিকে। তবে হেরে গেলে বিদায় নিশ্চিত হবে সাকিবদের।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর লাহোরে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান। এই ম্যাচে যদি শ্রীলঙ্কা আফগানিস্তানকে হারায় তাহলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে লঙ্কারা সরাসরি চলে যাবে সুপার ফোরে। এতে বাংলাদেশ রানার্সআপ হয়ে শেষ চ্যারে কোয়ালিফাই করবে। কিন্তু শ্রীলঙ্কা যদি আফগানদের কাছে হেরে যায় তখন তিন দলের একটি করে জয়ে হিসেব হবে রানরেটে।
রানরেট বিবেচনায় যে দুই দল এগিয়ে থাকবে তারাই খেলবে সুপার ফোর স্টেজে। তিন দলের সমান একটি করে জয় হলেও রেটিংয়ে পিছিয়ে থাকা দলকে বিদায় নিতে হবে টুর্নামেন্ট থেকে। সেখানে এশিয়া কাপের শুরুতেই বেশ পিছিয়ে যাওয়ায় ব্যাকফুটে আছে টিম টাইগার্সরা।
এদিকে গ্রুপ ‘এ’র দলগুলোর মধ্যে শক্তি বিবেচনায় নেপাল থেকে যোজন যোজন এগিয়ে ভারত ও পাকিস্তান। ইতোমধ্যে নেপালের বিপক্ষে বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান।
এই ম্যাচে ভারতের কাছে বাবর আজমরা হারলেও সুপার ফোর প্রায় নিশ্চিত তাদের। কারণ নেপালের বিপক্ষে ২৩৮ রানের বিশাল জয়ে রানরেটে অনেকটা এগিয়ে পাকিস্তান। আবার পাকিস্তান যদি ভারতকে হারায় এতে তারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ চার নিশ্চিত করবে।
সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় দল নির্বাচনে ভারত-নেপালের ম্যাচে চোখ থাকবে সমর্থকদের। তবে শক্তিমত্তায় ভারতকে হারানো নেপালের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। ফলে এই গ্রুপ থেকে ভারত ও পাকিস্তানের সুপার ফোরে ওঠা প্রায় নিশ্চিত।