আইকনিক ফোকাস ডেস্কঃ আসছে আগস্টের ৩০ তারিখ হতেই শুরু হতে যাচ্ছে এশিয়া কাপ। আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য এশিয়ার দলগুলোর শেষ প্রস্তুতির ও নিজেদের ভুল ত্রুটি শুধরে নেয়ার মঞ্চ হিসেবে ধরা হচ্ছে এই টুর্নামেন্টকে।
টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় সকল আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সোমবার (৩১ জুলাই) থেকে স্কোয়াড সাজানোর প্রস্তুতি হিসেবে শুরু হয়েছে টাইগারদের ফিটনেস ক্যাম্প। এই ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ৩২ ক্রিকেটারের ভেতর থেকে ২২ জনকে নিয়ে গঠন করা হবে এশিয়া কাপ ও আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজের স্কোয়াড।
কিন্তু এই চূড়ান্ত স্কোয়াড সাজাতে গিয়ে বোর্ড কর্তা, টিম ম্যানেজমেন্ট ও হেড কোচের ভেতর চলছে একপ্রকারে স্নায়ু যুদ্ধ।
বোর্ডের একটি বিশ্বস্ত সূত্র হতে জানা গেছে ইতোমধ্যে এশিয়া কাপ ও নিউজিল্যান্ড সিরিজ সামনে রেখে তিনটি পৃথক স্কোয়াড প্রস্তুত করা হয়েছে তিন পক্ষ থেকে। এ তিন স্কোয়াডে বেশিরভাগ ক্রিকেটার ‘কমন’ থাকলেও যুদ্ধটা চলছে রিয়াদের থাকা না থাকা নিয়ে।
আরো পড়ুনঃ এশিয়া কাপের স্কোয়াড নিয়ে বিসিবির নাটক
জাতীয় দলের ব্যাটিং অর্ডারের সাত নম্বর পজিশন নিয়ে বেশ বিপাকেই রয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে হেড কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে জাতীয় দল থেকে একপ্রকারে ‘সরিয়েই’ রাখা হয়েছে। আর তার রিপ্লেসমেন্টে এখনও উপযুক্ত কাউকে খুঁজে পায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট।
যেহেতু সামনে বিশ্বকাপ, সে কারণে এই সাত নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটিং পজিশনটা স্বভাবতই টিম ম্যানেজমেন্টের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। আর সে কারণেই টিম ম্যানেজমেন্ট ও বোর্ডের একটি অংশ চাচ্ছে অন্তত এশিয়া কাপে রিয়াদকে বাজিয়ে দেখতে। যেহেতু হাতে আপাতত আর কোনো অপশন নেই।
আর তাই বোর্ড কর্তাদের ও টিম ম্যানেজমেন্টের সাজেস্ট করা সেই স্কোয়াডে রাখা হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে।
অপরদিকে সিনিয়র ক্রিকেটারদের ছেটে ফেলার কারিগর হাথুরুর এশিয়া কাপের স্কোয়াডে স্ট্যান্ড বাই হিসেবেও রাখা হয়নি মাহমুদউল্লাহকে। সেই সঙ্গে নম্বর সেভেন হিসেবে স্কোয়াডে ঢুকানো হয়েছে সৌম্য সরকারকে, যার কিনা সেই পজিশনে খেলার অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে।
এশিয়া কাপের জন্য প্রাথমিকভাবে গড়া সেই তিন স্কোয়াডে নম্বর সেভেনের দৌড়ে জায়গা হয়েছে আফিফ হোসেন, শেখ মেহেদী ও শামীম হোসেন পাটোয়ারির। তবে লড়াইটা এখন চলছে মূলত রিয়াদ ও সৌম্যকে নিয়েই।
সদ্য শেষ হওয়া ইমার্জিং এশিয়া কাপে চার ম্যাচে ৬ উইকেট তুলে নেয়ার পাশাপাশি সৌম্য তিন ম্যাচে পাঁচ ও ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করে নামের পাশে লিখিয়েছেন ৯৫ রান।
আর এই পারফরম্যান্সের প্রভাবেই রিয়াদের পরিবর্তে প্রিয়পাত্র সৌম্যকে খেলাতে চান হাথুরু।
এদিকে ওয়ানডেতে শেষ ১০ ইনিংস খুব একটা খারাপ যায়নি রিয়াদের। ১০ ইনিংসের ভেতর রিয়াদের পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস দুটি; একটি অপরাজিত ৮০ রানের, অপরটি ৭৭। এছাড়া ত্রিশছোঁয়া ইনিংস রয়েছে তার তিনটি। শুধুমাত্র স্ট্রাইক রেটের কারণে ঝুলে রয়েছে ডানহাতি এই মিডল অর্ডারের ভাগ্য।