আইকনিক ফোকাস ডেস্কঃ আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হতে যাচ্ছে লা লিগা। নতুন মৌসুমে আগামী ১৩ আগস্ট (রোববার) প্রথম ম্যাচে অ্যাথলেটিক ক্লাবের বিপক্ষে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ। নতুন মৌসুমকে সামনে রেখে কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে চুক্তির বিষয় চূড়ান্ত করতে চায় রিয়াল। লিগের সূত্রে এই তথ্য জানিয়েছে ক্রীড়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন। তবে এখনও এমবাপ্পে ও একইসঙ্গে পিএসজির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে রিয়াল।
এদিকে আগামী বছর ফ্রি ট্রান্সফার এড়ানোর জন্য ফরাসি জায়ান্টরা ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপজয়ী তারকাকে এবারের গ্রীষ্মেই ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ২০২৩-২৪ মৌসুম শুরুর দুই সপ্তাহ বাকি থাকলেও দুই ক্লাবের মধ্যে এ ব্যাপারে এখনও কোনো চূড়ান্ত আলোচনা হয়নি। তবে এখনও বেশ আশাবাদী রিয়াল।
ইএসপিএন জানিয়েছে, আলোচনা শুরু করতে পিএসজি আগ্রহ দেখালে চুক্তির বিষয়ে প্রস্তুত আছে মাদ্রিদও। ফ্রান্সের এই তারকাকে দলে নিতে হলে রিয়াল মাদ্রিদের অন্তত ২০০ মিলিয়ন ইউরোর ওপর ব্যয় করতে হবে, সঙ্গে অন্য আনুষঙ্গিক আরও ব্যয় রয়েছে। এমবাপ্পের সঙ্গে ২০২৯ সাল পর্যন্ত ছয় বছরের চুক্তি করতে আগ্রহী রিয়াল। ইংলিশ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহামের চুক্তির সঙ্গে মিলিয়েই এই চুক্তি করতে চায় রিয়াল। এবারের গ্রীষ্মে ১০৩ মিলিয়ন ইউরোর সঙ্গে আরও সব মিলিয়ে ৩০ শতাংশ যোগ করে বেলিংহামের সঙ্গে চুক্তি করেছে মাদ্রিদ।
আরো পড়ুনঃআসছে টিকটকে টেক্সট ফিচার
করিম বেনজেমা ক্লাব ছেড়ে চলে যাওয়ায় যে ফাকা স্থান তৈরি হয়েছে তা এমবাপ্পে ও বেলিংহামকে দিয়ে পূরণ করতে চায় মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া আগামী ডিসেম্বরে হোম গ্রাউন্ড সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর নতুন রূপ সবার সামনে উন্মুক্ত করতে চায় মাদ্রিদ। আর সেখানে মূল খেলোয়াড় হবেন এমবাপ্পে ও বেলিংহাম।
এদিকে দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হয়ে উঠতে পারেন এমবাপ্পে। কারণ, এবার একমাত্র সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে জোসেলুকে দলে নিয়েছে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি। তাই বারবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করছে স্প্যানিশ ক্লাবটি।
অন্যদিকে স্প্যানিশ বিভিন্ন গণমাধ্যমের দাবি ফেঞ্চ তারকার জন্য ২৫০ মিলিয়ন ইউরো দাবি করছে পিএসজি। তবে ইএসপিএন সূত্র বলছে, আলোচনার মাধ্যমে এর থেকে কম অর্থও শেষ পর্যন্ত মেনে নিতে পারে প্যারিসের ক্লাবটি।
যদিও এর আগে, এমবাপ্পের জন্য ২০২৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রত্যাশা করেছিল মাদ্রিদ। কিন্তু আগামী বছর প্রিমিয়ার লিগের যেকোনো ক্লাব এমবাপ্পের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে, এমন আশঙ্কায় আর ঝুঁকি নিতে চায়নি তারা। চুক্তির বিষয়ে ক্লাবের পক্ষ থেকে অবশ্য সরাসরি কেউই কিছু বলছে না।