নতুন প্রজন্মকে ইন্টারনেটের আপত্তিকর আসক্তি থেকে বের করে আনতে ইতিমধ্যে অশ্লীল কনটেন্ট, জুয়া বা বিপথগামী সাইট বন্ধ করে দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এর ধারাবাহিকতায় দেশে বন্ধ হতে পারে টিকটক, বিগো লাইভ ও লাইকির মত সব ধরনের এ্যাপস। বিভিন্ন সিনেমার জনপ্রিয় গানের একাংশ,ঠোঁট মিলিয়ে ভিডিওতে কোনো খারাপ উক্তি তৈরির এই অ্যাপ নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশে সমালোচনা ঝড় উঠেছে। অ্যাপের কারণে আমাদের নতুন প্রজন্মের বেড়ে উঠা হুমকির মুখে পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের কারণে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে অশ্লীল কন্টেন্ট ও ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও। এর ফলে মানুষের মধ্যে এক ধরনের অসুস্থ মানসিকতা তৈরি হয়। তারা স্বাভাবিক কথা কেউও ব্যঙ্গ করে বলে। এছাড়া এসব একসময় বদভ্যাসে পরিণত হয়।
এদিকে, আজ সোমবার (১৬ই আগষ্ট) অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ সব ক্ষতিকর গেম অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম তথা লাইকির মতো সব ধরনের অনলাইন গেম এবং অ্যাপস বন্ধের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। সোমবার (১৬ আগস্ট) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল গোলাম সরোয়ার পায়েল। আর বিটিআরসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।
এর আগে গত ২৪ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মানবাধিকার সংগঠন ‘ল অ্যান্ড লাইফ’ ফাউন্ডেশনের পক্ষে গেম এবং অ্যাপগুলোর ক্ষতিকারক দিক তুলে জনস্বার্থে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও মোহাম্মদ কাউছার। দেশের অনলাইন প্লাটফর্মগুলো থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার ও লাইকির মতো অনলাইন গেম ও অ্যাপ বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয় রিটে।
রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (ডিজি), বাংলাদেশ ব্যাংক, মোবাইল অপারেটর, বিকাশ ও নগদকে বিবাদী করা হয়। এর আগে গত ১৯ জুন এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে লিগ্যাল নোটিশে পাঠানো হয়। নোটিশ পাওয়ার পরে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় রিট করেন এই আইনজীবী।