আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ শক্তিমান অভিনেতা তিনি। সিনেমার পর্দায় নেতিবাচক চরিত্রেই বেশি দেখা গেছে। তার বাঘের মতো সংলাপ পর্দায় কাঁপন ধরাতো। তার ভয়ঙ্কর সব অঙ্গভঙ্গির ভয় দেখিয়ে বাচ্চাদের ঘুম পাড়িয়েছেন এ দেশের বহু মা। সিনেমায় কূটবুদ্ধি, প্রতিপক্ষকে শক্তিশালী মোকাবিলায় ঘায়েল করতে জুড়ি ছিল না তার। অভিনয়ে যেমন ছিলেন দুর্দান্ত, তেমনি তার বাচনভঙ্গি, এক্সপ্রেশনও ছিলে যেকোনো অভিনেতার জন্য ঈর্ষণীয়। বলছি ওয়াসীমুল বারী রাজীবের কথা। যিনি খলনায়ক চরিত্রকে দর্শকের কাছে ভিন্ন এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। আজ এই অভিনেতার ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৪ সালের এইদিনে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে মৃত্যুবরণ করেন রাজিব। তবে অভিনেতা হিসেবে তিনি এখনও মানুষের হৃদয়ে রয়েছেন।
১৯৮১ সালে ‘রাখে আল্লাহ মারে কে’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রাজীব রুপালি পর্দায় পা রাখেন। এরপর কাজী হায়াতের ‘খোকন সোনা’ সিনেমার মাধ্যমে তারকাখ্যাতি পান। রাজীব চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম ফ্রেন্ডস মুভিজ। বিএফডিসির ব্যবস্থাপক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এ ছাড়া জাতীয়তাবাদী চলচ্চিত্র পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। সিনেমায় অভিনয় শুরুর আগে তিতাস গ্যাস কোম্পানিতে চাকরি করতেন রাজীব।
প্রসঙ্গত, অভিনেতা রাজীব; মৃত্যুর ১৭ বছর পেরিয়েও এতটুকু ম্লান হননি শ্রদ্ধা ও স্মরণের জায়গায়। মিডিয়ার গ্ল্যামার আর করপোরেট বাণিজ্যে তার চাহিদা না থাকলেও তিনি থেকে যাবেন ঢাকাই সিনেমার কয়েক প্রজন্মের দর্শকের মনে, চলচ্চিত্রের সবখানে। মাত্র ৫২ বছরেই জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়া এই কিংবদন্তির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।