ওমান সাগরে ইসরাইলের ব্যবসায়িক জাহাজে ড্রোন হামলার সপ্তাহ পার না হতেই এবার সরাসরি ইসরাইলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ সংগঠন হিজবুল্লাহ ইসরাইলে রকেট হামলা করেছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, এমন এক সময়ে এই ঘটনা ঘটল যখন ওমান সাগরে ইসরাইলের ব্যবসায়িক জাহাজে ড্রোন হামলা নিয়ে ইরানের সঙ্গে তাদের উত্তেজনা চলছে।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, লেবানন থেকে ইসরাইলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে তিনটি রকেট ছোড়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি ইসরাইলি সীমান্তের কাছে আছড়ে পড়ে এবং অন্য দুটি সীমান্তের ভেতরে আঘাত হেনেছে। জবাবে ইসরাইল লেবানন ভূখণ্ডে কামানের গোলা নিক্ষেপ করেছে।
তবে এই হামলায় এখন পর্যন্ত কী পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে সেটা জানা যায়নি।
গত শুক্রবার আরব উপসাগরের ওমান উপকূলে ইসরাইলের একটি ব্যবসায়িক জাহাজে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। এতে জাহাজটির দুইজন ক্রু নিহত হন। নিহতদের একজন ব্রিটিশ নাগরিক ও অন্যজন রোমানিয়ার।
ঘটনার পর থেকে চিরশত্রু ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব ধারণা করছে, ইরান অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করে এই হামলা করেছে।
গত ১৫ জুলাই হিজবুল্লাহ-ইসরাইল যুদ্ধের ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে লেবাননভিত্তিক ইসলামি প্রতিরোধ সংগঠন নিয়ে ইসরাইলের গণমাধ্যম বিস্ময়কর তথ্য প্রকাশ করে। ইহুদি গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, হিজবুল্লাহর কাছে বর্তমানে দেড় লাখ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হলে হিজবুল্লাহ প্রতিদিন ইসরাইলে এক হাজার থেকে তিন হাজার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করবে।
হিজবুল্লাহ ইসরাইল যুদ্ধ
২০০৬ সালের জুলাই মাসে লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ সংগঠন হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১২ জুলাই এই যুদ্ধ শুরু হয়ে শেষ হয় ৮ সেপ্টেম্বর। এই সংঘর্ষে ১৩শ জন লেবানিজ এবং ১৬৫ জন ইসরাইলি নিহত হন।
এই যুদ্ধে ইসরাইলের গর্ব বেশ কয়েকটি মারকাভা ট্যাংক ধ্বংস হয়। এ ট্যাংক গুলোকে তারা বিশ্বের সেরা ট্যাংক হিসেবে দাবি করত।
১৪ আগস্ট আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি হয়। ইসরাইল সরকার সামান্য মিলিশিয়াদের কাছে পরাজয়ের জন্য নিজ দেশের জনগণের কাছে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্টের পদত্যাগের দাবি ওঠে। হিজবুল্লাহ লেবানিজদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।