আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ বাঙ্গি একটি স্বাস্থ্যকর ফল। এটি যেমন পাকলে খাওয়া যায় আবার কাঁচা বাঙ্গি সবজি হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়। বাঙ্গিতে থাকে আমিষ, ফ্যাটি অ্যাসিড ও খনিজ লবণ। মূত্রস্বল্পতা কিংবা ক্ষুধামান্দ্য দূর করতে পারে বাঙ্গি।
অনেকে বাঙ্গি নামে চিনলেও এর আরো নাম রয়েছে। খরমুজ, কাঁকুড়, ফুটি বা বানি। দেশের প্রায় সব এলাকায় গ্রীষ্মকালে বাঙ্গি জন্মে। বাঙ্গিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড যা রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। এছাড়াও করোনাকালে বাঙ্গি শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করছে বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা।
বাঙ্গির উপকারিতা:
১. পুষ্টিগুণে ভরপুর ফল বাঙ্গি। ইফতারে বাঙ্গি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি।
২. এটি সালাদ বা শরবত হিসেবে রাখা যায়।
৩. বাঙ্গিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটমিন-বি থাকে, যা মাথার চুল পড়া বন্ধ এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
৪. গরমকালে বাঙ্গি অনেকগুলো রোগ থেকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে।
৫. সূর্য়ের তাপে চামড়া পুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
৬. হিটস্ট্রক, উচ্চ রক্তচাপ, পানিশূন্যতা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে বাঙ্গি।
এছাড়াও বাঙ্গিতে প্রচুর ক্যালরি রয়েছে। এতে খাদ্য উপাদান হিসেবে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-এ, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম যথেষ্ট পরিমাণে আছে। প্রতিদিনের ইফতারির খাদ্য তালিকায় বাঙ্গি রাখা হলে এসব উপাদান সহজেই পাওয়া যাবে।
করোনা মহামারীর কারণে সারা বিশ্বেই ইমিউনিটি বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এজন্য প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ডি ও মিনারেল জতীয় খবার খেতে বলা হচ্ছে। বাঙ্গিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি থাকায় এটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখে।
বাঙ্গিতে প্রচুর পরিমাণে জলীয় অংশ এবং খাদ্য আঁশ থাকে। খাদ্য আঁশ হজম শক্তি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। অবসাদ বা বিষন্নতা কমাতে বাঙ্গি বিশেষ ভূমিকা রাখে।
এছাড়া মাংসপেশীতে হওয়া বিভিন্ন সমস্যা থেকেও সুরক্ষা দেয় বাঙ্গি। আমাদের দেশে কয়েক ধরনের বাঙ্গি পাওয়া যায়। সব বাঙ্গিতেই প্রায়ই একই ধরনের উপাদান রয়েছে। শিশুদেরও বাঙ্গির শরবত খাওয়ানো যেতে পারে। অনেক তৈরি খাবার বা বিদেশি ফলের চেয়ে দেশীয় সহজলভ্য ফল হিসেবে বাঙ্গি শরীরের জন্য অনেক উপকারি বলে ধারনা করা হয়।