আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ দৃশ্যটা দূরতম কল্পনাতেও হয়তো ছিল না বার্সেলোনা–সমর্থকদের। লিওনেল মেসি অনুশীলন করছেন অন্য কোনো মাঠে, অন্য একটি ক্লাবের হয়ে; এমন কিছু সহ্য করাও তো অসম্ভব তাঁদের জন্য। কিন্তু কী আশ্চর্য! কল্পনার অতীত ব্যাপারটি এখন বাস্তব। বার্সেলোনা–সমর্থকেরাও দৃশ্যটি সহ্য করতে পারছেন। আসলে পৃথিবীতে ‘অসম্ভব’ বলে কিছু নেই।
কাল পিএসজিতে প্রথম অনুশীলন করলেন মেসি। নেইমার, সের্হিও রামোস, এমবাপ্পে, আনহেল দি মারিয়ারা তাঁকে প্রথম দিনই আপন করে নিয়েছেন। কেবল অনুশীলনেই মেসি সিরিয়াস ছিলেন না, নতুন কর্মক্ষেত্রে ‘প্রাথমিক ইমেজ’ প্রতিষ্ঠাতেও সচেষ্ট ছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা। নতুন ক্লাব, নতুন মাঠ, নতুন পরিবেশ; মানিয়ে নিতেও তো অসুবিধা হওয়ার কথা। সে কথা চিন্তা করেই কিনা, গতকাল দুই ঘণ্টা আগেই নাকি পিএসজির অনুশীলনে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন মেসি।
মেসি নিজেই বলেছেন, পিএসজিতে এমবাপ্পে-নেইমারদের সঙ্গে তাঁর জোট বেঁধে খেলাটা একধরনের ‘পাগুলে’ ব্যাপার। পিএসজি যেন ‘পাগুলে’ কারবারের পসরা সাজিয়েই রেখেছে।
সের্হিও রামোস আর মেসি একসঙ্গে, এক দলে খেলছেন-এ দৃশ্য ফুটবল–দুনিয়া কোনো দিন দেখবে, ভেবেছিল! এই তো গত মৌসুমেও লা লিগায় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সেলোনার হয়ে মুখোমুখি হয়েছেন রামোস-মেসি। রামোস চোখ রেখেছেন মেসির ওপর, কোনোভাবেই যেন তিনি রক্ষণ ভাঙতে না পারেন।
ফুটবলীয় কায়দায় না হলে একটু বাঁকা পথে গিয়েও মেসিকে আটকানোর চেষ্টায় কোনো ঘাটতি দেখাননি স্প্যানিশ তারকা। রিয়াল-বার্সার মধ্যকার কত দ্বৈরথে যে রামোসের সঙ্গে মেসির লেগেছে, তার ইয়ত্তা নেই। দুজনকেই তাঁদের ক্লাব ছেড়ে দিয়েছে এবার। দুজনের পথই মিশেছে একই মোহনায়।
তাই রসায়নটা ভালোই জমার কথা। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেছেন মেসি। স্বদেশি আনহেল দি মারিয়া, লিয়ান্দ্রো পারেদেস আর মাউরো ইকার্দির সঙ্গেও চুটিয়ে আড্ডা মেরেছেন। প্রিয় বন্ধু নেইমারও বাদ পড়েননি। তাঁর সঙ্গে আড্ডা না হলে চলে নাকি!
মোটকথা, প্রথম দিনটা পিএসজির অনুশীলনে দারুণ কাটল মেসির। রোববার ফ্রেঞ্চ লিগের ম্যাচে পিএসজি মুখোমুখি হবে স্ট্রসবার্গের বিপক্ষে।