আমি তার স্ত্রী না। এসব নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।

ছবি নির্মাণ করতে এসে নিঃস্ব হয়েছেন অরণ্য পলাশ নামে একজন নির্মাতা। এখন কাজ করছেন হোটেলবয়ের। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন সংবাদে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

জানা গেছে, সঞ্জীবন শিকদারের পথনাটক ‘কই বলল’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘গন্তব্য’ নামে ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি নির্মাণ করতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে সুদে ঋণ, জমি বিক্রি, স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে কাজ শেষ করেছেন এর নির্মাতা ও প্রযোজক অরণ্য পলাশ। ইতোমধ্যে এটি সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্রও পেয়েছে। তবে অর্থাভাবে ছবিটি মুক্তি দিতে পারছেন না তিনি।

অরণ্য পলাশের এমন সংবাদের সঙ্গে উঠে এসেছে এলিনা শাম্মীর নামটিও। অনেকে বলছেন, এলিনা শাম্মী নির্মাতা অরণ্য পলাশের স্ত্রী। তবে এমন সংবাদে চটেছেন এলিনা শাম্মী।

আমাদের প্রতিনিধিকে এলিনা শাম্মী বলেন, ‘সবাই মনে করছেন আমি অরণ্য পলাশের স্ত্রী। এমন খবর বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমও প্রকাশ করেছে। কোথাও কি অরণ্য পলাশ স্ত্রী হিসেবে আমার নামটি বলেছেন? আমি তার স্ত্রী হতে যাবে কেন বা আমার নামটি কেন আসছে, বুঝলাম না। আমি পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, আমি তার স্ত্রী না। এসব নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। দয়া করে মিথ্যে কথা রটাবেন না।’

‘“গন্তব্য” ছবির প্রযোজক আমি। আমি এতে অর্থলগ্নি করেছি’-এ কথা উল্লেখ করে এলিনা শাম্মী বলেন, ‘অরণ্য পলাশ একটি বেসরকারি টিভিতে প্রডিউসার হিসেবে কাজ করতো এক সময়। মূলত, সেখান থেকেই তার সঙ্গে আমার পরিচয়। প্রায় ৩-৪ বছর আগে আমরা কয়েকজন মিলে একটা প্রোডাকশন হাউজ দিলাম। এই হাউজ থেকে আমরা বেশ কিছু নাটক ও বিজ্ঞাপনের কাজ করেছি। এরপর আমরা কয়েকজন মিলে ছবিটা বানানোর পরিকল্পনা করলাম।’

দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলো কী নিয়ে- জানতে চাইলে শাম্মী বলেন, ‘আসলে অনেক কারণেই আমাদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। মূলত, আমরা যে হাউজটি করেছিলাম তার পার্টনার দু’জন, ফিফটি-ফিফটি। আমি অনেক আন্তরিক ছিলাম কিন্তু ওর দিক থেকে এমনটা ছিল না। ‘গন্তব্য’ ছবির প্রথম দিকে একজন প্রডিউসার ছিল। কিন্তু সে কোনো কিছুই করেনি। বলা যায়, ছবি নির্মাণের পথে নামিয়ে দিয়ে, সে চুপ হয়ে যায়। এরপর আমি এটি প্রযোজনার দায়িত্ব নিই। কিন্তু যখন জানতে পারি, প্রযোজক হিসেবে অন্য কারও নাম নিবন্ধন করা হয়েছে, তখন তো কষ্ট লাগবেই। আমি তিন ধাপে সর্বমোট ৪৫ লাখ টাকা এতে বিনিয়োগ করেছি। এমন আরও অসংখ্য কারণ আছে যার জন্য অরণ্য পলাশের সঙ্গে আমার দূরত্ব তৈরি হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি স্বীকার করি, অরণ্য পলাশও এতে প্রায় ১৫-১৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে। তার বাবার পেনশনের টাকা, উচ্চ সুদে ঋণ, জমি বিক্রি, স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে টাকা এনে সে ছবির শেষ ভাগের কাজটি করেছে। ছবির কাজটি করতে গিয়ে সে যেমন নিঃস্ব হয়েছে, আমিও কিন্তু শেষ হয়ে গেছি। আসলে আমার এখন একটাই চাওয়া, ছবিটি আলোর মুখ দেখুক। এই মুহূর্তে তর্কে জড়াতে চাই না, সবার চাওয়াই ছবিটি মুক্তি পাক। ছবি মুক্তির পর সংবাদ সম্মেলন করে আমি অনেক কথাই বলবো, এখন না।’

এদিকে, ‘গন্তব্য’ ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস, আইরিন, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, কাজী রাজু, আফফান মিতুলসহ আরও অনেকে। জানা গেছে, ছবির জন্য এসব শিল্পীরা নামমাত্র পারিশ্রমিক নিয়েছেন। কেউ কেউ বিনা পারিশ্রমিকেও কাজ করেছেন।

 

Leave a Reply

Translate »