আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান। এই দিকে এ পরিস্থিতিতে ভিন্ন রকমের ঝামেলায় পড়েছেন ভারতীয় অভিনেত্রী, বিগ বস প্রতিযোগী আরশি খান। রীতিমতো নিজের পরিচয় নিয়ে ট্রলের শিকার হলেন এই তারকা। ভারতীয় এই অভিনেত্রীকে কেউ বললেন পাকিস্তানি, কেউ বললেন তালেবান। চুপ থাকেননি আরশিও। ভারতীয় এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে অকপট জানালেন, তাঁর জন্ম আফগানিস্তানে। কিন্তু তাঁর বাবা সপরিবার ভারতে চলে যান। এখন তিনি ভারতীয় নাগরিক। মনে-প্রাণে তিনি ভারতীয়।
নাগরিকত্ব নিয়ে তারকাদের ট্রল হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরশিকে মন্দ কথা বলা হচ্ছে। এ ঘটনায় ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন এই অভিনেত্রী। আক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আগেও নাগরিকত্ব নিয়ে আমাকে ট্রল করা হয়েছে। এ নিয়ে তৃতীয়বার আমাকে টার্গেট করেছে তারা।
তারা ভাবে, আমি পাকিস্তানি নাগরিক। এই একই কারণে কাজের জায়গাতেও অনেক কথা শুনতে হয়েছে। আমি একটা কথা স্পষ্ট করে জানাতে চাই যে আমি ভারতীয়। আমার কাছে ভারত সরকারের অনুমোদিত পরিচয়পত্র রয়েছে।
নিজের বংশপরিচয় পরিষ্কার করে আরশি বলেন, ‘পাকিস্তান না, আমার শরীরে আফগানি রক্ত। জন্মসূত্রে আমি একজন আফগানি পাঠান। আমার পরিবার ইউসুফ জহির পাঠান গোষ্ঠীর। আমার দাদা আফগানিস্তান থেকে ভারতে চলে এসেছিলেন এবং তিনি ভোপালে স্থায়ী হন। আমার পরিবার যখন ভারতে চলে আসে, তখন আমার বয়স ছিল মাত্র চার বছর। আমার শিকড় আফগানিস্তানে, তবে আমি ভারতীয় নাগরিক।
আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন আরশি। তিনি বলেন, ‘সেখানকার পরিস্থিতির কথা ভাবতেই ভয় করে। বেশি চিন্তা হচ্ছে আফগান নারীদের জন্য। ছোটবেলায় এ দেশে চলে না এলে আজ আমাকেও হয়তো তাঁদের মতো অসহায় হয়ে বাঁচতে হতো।’ এখনো আফগানিস্তানে রয়েছেন আরশির কয়েকজন বন্ধু এবং আত্মীয়। আজ তাদের কথা বেশি মনে পড়ছে আরশির।
অভিনয়, মডেলিংয়ের পাশাপাশি কংগ্রেস দলের সদস্যপদও গ্রহণ করেন তিনি। ‘বিষ’, ‘সাবিত্রী দেবী কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল’-এর মতো সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন আরশি। তাঁর খুব ইচ্ছা সালমান খানের সঙ্গে অভিনয় করবেন। এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বিগ বস এবং সালমান খান তাঁর ক্যারিয়ারে দারুণ ভূমিকা রেখেছে যেমন, তেমনি জীবন সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে দিয়েছে। কিছুদিন আগে একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ‘রাত কি বেগমজান’ এ দেখা গেছে তাঁকে। মডেল হিসেবে তিনি ছিলেন একটি পাঞ্জাবি গানের মিউজিক ভিডিওতে। আলোচিত হয়েছিল সেটি।