আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে পড়েছে! টিকটক, লাইকি, ফেসবুক, ইউটিউব- এসব মাধ্যমে কখন কী ভাইরাল হয়, তা কেউই বলতে পারেন না! আর মিম জেনারেশনে কোনো কারণ ছাড়াই যেকোনো বিষয় ট্রেন্ডিং হয়ে উঠতে পারে। সেই ট্রেন্ডিংয়ের পারদ চড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে অনেকেরই ভাগ্য খুলেছে। তাদেরই একজন ২১ বছর বয়সী খাবি লেইম।
দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ সেনেগালের বাসিন্দা খাবি লেইম। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে ইতালিতে থাকেন তিনি। ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারিতে কারখানায় সামান্য বেতনের চাকরি হারান খাবি। অনেক খুঁজেও নতুন কাজের সন্ধান পাচ্ছিলেন না। কী করবেন ভেবে না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। সেই পরিস্থিতিতে সময় কাটাতে টিকটক ভিডিও বানাতে শুরু করেন। আর এতেই ভাগ্য ফেরে খাবির।
তবে অন্য দশজনের মতো নয়, খাবি নিজের ভিডিওতে রাখেন ভিন্নতা। কথা, গান কিংবা বিশেষ এডিটিং নয়, নানা অঙ্গভঙ্গি করে টিকটক দুনিয়া মাতান তিনি। অনেকটা ‘পোকার ফেস’ ইমোজির মতো।
অন্তর্জালে সাড়া পেয়ে পরপর বেশ কিছু ভিডিও পোস্ট করেন খাবি। ধীরে ধীরে ভাইরাল হতে শুরু করেন তিনি। লাফিয়ে বাড়তে থাকে ফলোয়ার্স। এরপর প্রতিদিন ৩-৪টি করে ভিডিও পোস্ট করা শুরু করেন এই যুবক। শুধু মুখের ভঙ্গিমায় বানানো খাবির এসব ভিডিওর ভাষা বুঝতে বিশ্ববাসীর কোনো অসুবিধা হয়নি। বর্তমানে খাবির ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার ৭৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন এবং টিকটক ফলোয়ার ১৩৭ দশমিক ৭ মিলিয়ন।
জনপ্রিয়তার পাল্লা ভারী হতেই বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনের অফার পান খাবি। এই কাজ করেও যে মোটা টাকা আয় করা যায়, তা বুঝতে পারেন তিনি। পাশাপাশি অন্তর্জালের নামি সেলেব্রিটিদের সঙ্গে কোলাবরেশনের ডাক আসতে থাকে তার। বিভিন্ন দেশে যেতে শুরু করেন চাকরিহীন সেই যুবক।
এদিকে প্রথমবারের মতো কথা বলতে দেখা গেল খাবি লেইমকে। নাস ডেইলি নামের একটি ফেসবুক পেজে তার জীবনের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। ভিডিওতে খাবি বলেন, ‘হ্যালো, আমি খাবি। আমি তোমাদের এবং মানুষকে হাসাতে ভালোবাসি। আমার ভিডিওগুলো সহজ ও সাধারণ। এটাই আমার জাদু।