প্রযোজক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও নুসরাত ইমরোজ তিশার প্রথম ইংরেজি চলচ্চিত্র নো ল্যান্ডস ম্যান-এর সম্পাদনার কাজ চলছে। মুক্তির দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি, এরই মধ্যে ঘোষিত হয়েছে তাঁদের আরেকটি ইংরেজি ছবির নাম।
নতুন এ ছবির ঘোষণা ফারুকী নিজে দেননি। ‘এশিয়ান প্রজেক্ট মার্কেট’ সোমবার তাদের ওয়েব সাইটে চলতি বছরের নির্বাচিত ২০টি ছবির নাম ঘোষণা করে। সেখানেই দেখা যায় ফারুকী পরিচালিত ‘এ বার্নিং কোয়েশ্চেন’ এর নাম। নতুন এই ছবিটির পুরো আয়োজন, ভাষা, গল্প- সবই আমেরিকার।
এতে সহ-প্রযোজক হিসেবে আছেন তার স্ত্রী অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা ও আমেরিকান প্রযোজক শ্রীহরি সাঠে। এটি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ প্রযোজিত ছবি হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফারুকী।
এ নিয়ে ফারুকী বলেন, ইংরেজি ভাষায় নির্মিতব্য এটি আমার দ্বিতীয় ছবি, যার সমস্ত আয়োজনই হবে আমেরিকায়। ভাষা এবং গল্পের সেটিংও আমেরিকান। যে ছবিটি মেইনস্ট্রিম আমেরিকান বিষয় ডিল করবে।
পরপর দুটি ইংরেজি ছবি বানাচ্ছেন। অথচ বাংলাদেশের পরিচালক আপনি, বাংলা ভাষার ছবি নিয়ে কিছু ভাবছেন না? এমন প্রশ্নের উত্তরে ফারুকী বলেন,
‘আমি ফিল্ম মেকার। যেকোনো ভাষাতেই ছবি করতে পারি, যদি সেই ছবির বিষয়টা বা চরিত্রগুলো আমাকে যথেষ্ট পরিমাণ নাড়া দেয়। এই ছবির গল্পটা আরেকটু বেশি আমেরিকান মেইন স্ট্রিম বিষয় নিয়ে নাড়াচাড়া করবে। ফলে আরেকটু অন্য রকম চরিত্র, লোকেশন নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি, সে জন্য আমি আনন্দিত।
আরও আনন্দিত আমার নো ল্যান্ডস ম্যান ছবির আমেরিকান প্রযোজক শ্রীহরি সাঠে এই ছবিতেও আমার সঙ্গে থাকছে বলে। বাংলা ভাষায় সিনেমা করা বিষয়ে আমি আসলে জানি না কী বলব বা কী বলা ঠিক হবে। শুধু এটুকু বলতে পারি, একজন ফিল্মমেকারের জীবন খুব লম্বা কিছু না। কয়েক দশকমাত্র। সেখানে পরপর দুটি ছবি বানিয়ে যদি তিন বছর সেন্সর বোর্ডের দরজায় পড়ে থাকতে হয়—এর চেয়ে বেদনার, অপচয়ের কিছু নাই। হয়তো আবারও বাংলা ভাষায় সিনেমা বানাব, যখন ঠিক সময় আসবে।