চলে গেলেন দেশের বরেণ্য অভিনেতা ও আবৃত্তিকার কে এস ফিরোজ। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৭৬ বছর।
আজ বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনি মারা গেছেন।। মৃত্যুকালে এই অভিনেতা স্ত্রী ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
অভিনেতার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘গতকাল তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকরা নিউমোনিয়া হওয়ার কথা বলেছিলেন। এরপর ইনজেকশন দিলে তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থান তিনি মারা যান। আমার অনেক নাটকেই এই গুণী শিল্পী অভিনয় করেছেন। সকাল বেলাই এমন দুঃসংবাদ মেনে নিতে পারছি না।’
কে এস ফিরোজের মেয়ে নাদিয়া ফিরোজ জানান, বনানী সামরিক কবরাস্থানে কে এস ফিরোজের জানাজার পর সেখানেই সেনাবাহিনীর জন্য নির্ধারিত স্থানে তাকে দাফন করা হবে।
তিনি জানান, তার বাবা গেল কয়েকদিন ধরেই নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি তিনি নিউমোনিয়ার ইঞ্জেকশন নিতে আইসিডিডিআরবিতে যান। সেখান থেকে ফিরেই জ্বরে আক্রান্ত হন। পরে একটি হাসপাতালে তিনি ভর্তিও হন। সেখানে পরীক্ষার পর জানা যায় কে এস ফিরোজ করোনায় আক্রান্ত।
বাংলা নাটকের পাশাপাশি সিনেমাতেও ফিরোজের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য। তবে তার শুরুটা হয়েছিল মঞ্চনাটক দিয়ে। নাট্যদল ‘থিয়েটার’-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে অভিনয় শুরু করেন তিনি। কাজ করেছেন ‘সাত ঘাটের কানাকড়ি’, কিংলিয়ার’ ও ‘রাক্ষসী’ মঞ্চনাটকে।
বরিশালে জন্ম নেওয়া এই অভিনেতা ১৯৬৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পদে চাকরি পান। ১৯৭৭ সালে মেজর পদে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। কে এস ফিরোজের প্রথম সিনেমা ‘লাওয়ারিশ’। আরও অভিনয় করেছেন ‘শঙ্খনাদ’, ‘ বাঁশি’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’ ও ‘বৃহন্নলা’তে।