আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ চলতি বছরে আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ১২ আগস্টের ভেতর ঘোষণা করতে হবে স্কোয়াড। সময় বাকি আর মোটের ওপর ৩ দিন। কিন্তু এখন পর্যন্ত অধিনায়ক কে হবেন আসন্ন টুর্নামেন্টে সেটিই নিশ্চিত হতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ইতোমধ্যেই দলপতি হিসেবে জোরেশোরেই উচ্চারিত হচ্ছে সাকিব আল হাসানের নাম। বোর্ড কর্তাদেরও ইচ্ছা অধিনায়কত্বের গুরুভার অভিজ্ঞ কারও হাতে তুলে দেওয়া। আর দলের বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী সেই দায়িত্বের জন্য একমাত্র উপযুক্ত সাকিব আল হাসান। এমনটাই মত বোর্ড পরিচালকদের।
তামিম ইকবালের ওয়ানডে দলের দলপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই গুঞ্জন শুরু হয়, নতুন অধিনায়ক হিসেবে আসতে যাচ্ছেন সাকিব। যদিও সাকিবের সঙ্গে বোর্ড সভাপতির আনুষ্ঠানিক যোগাযোগটা শুরু হয় দিন-দুয়েক আগে। এর আগে বোর্ড সভাপতি সরাসরি অধিনায়কত্ব ইস্যুতে সাকিবের সঙ্গে কথা না বললেও কথা বলিয়েছেন বোর্ডের পরিচালকদের মাধ্যমে।
আরো পড়ুনঃফাওয়াদ আলমের নতুন অধ্যায়
সবশেষ বোর্ড সভাতেও সাকিবকেই দলপতি করার পক্ষে ঐক্যমতে পৌঁছান বোর্ড পরিচালকেরা। যেন এরপরই বোর্ড সভাপতি উঠেপড়ে লেগেছেন সাকিবকে অধিনায়কের পদে বসাতে। কেননা বাকি পরিচালকদের চাপে সাকিবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কথাবার্তা বলায় বোর্ড সভাপতির ঢিলেমি ভাবটা কেটেছে গতকালের বোর্ড সভার পর।
এমনকি সাকিবের দেওয়া শর্ত মেনে নেওয়ার পাশাপাশি তাকে নিঃশর্তভাবে দলপতির দায়িত্ব নিতে আহ্বান জানানো হয় বোর্ডের পক্ষ থেকে। তার ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়েই অধিনায়কের পদে তাকে বসানো হবে ও সেইসঙ্গে দলও সাজানো হবে বলেও জানানো হয়। ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জালাল ইউনূস বলেন, ‘সাকিবের মত জানা হবে সে কীভাবে কী করতে চায়।’
বোর্ড সভাপতির সাকিবের সঙ্গে কথা বলায় গা ছাড়া ভাবটা যদি না থাকতো তবে এতদিনে হয়তো বাঁহাতি এই ব্যাটার দায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি দলও সাজিয়ে ফেলতে পারতেন। আর তাহলে ভালো কিছুর আশাটাও আগে থেকেই করা যেত।