বেসরকারি স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্রী শিপ্রা দেবনাথের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় সাতক্ষীরার এসপি এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে করা রিটের শুনানি হয়েছে আজ বুধবার। এ বিষয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার আরেক দফা শুনানি শেষে আদেশের জন্য দিন ধার্য করা করেছেন আদালত।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শিপ্রা দেবনাথ পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার সহকর্মী।
এর আগে গত রোববার (১৬ আগস্ট) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক রিটটি দায়ের করেন। এদিকে গত ১৬ আগস্ট একটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকায় এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে সেটি সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের ভিডিও তৈরির উদ্যোগের সহকর্মী স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্রী শিপ্রা দেবনাথ অনলাইনে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তার ছোট ভাই শুভজিৎ কুমার দেবনাথ বলেন, ‘পুলিশের উঁচু পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কিছু লোক শিপ্রার ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি এবং উসকানিমূলক কথাবার্তা ফেসবুকে ছড়িয়ে চরিত্র হননের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান গত ১৪ আগস্ট শিপ্রার ব্যক্তিগত কিছু মুহূর্তের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে তার নির্দোষ হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেন। এরকম আরও ছবি আসার ব্যাপারেও ইঙ্গিত দেন তিনি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান শেলিও একইরকম পোস্ট করেছেন।
রিটে দুই পুলিশ কর্মকর্তার ফেসবুক পোস্টের ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়।
রিটে বিবাদী করা হয়- মন্ত্রিপরিষদের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ও আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের প্রধান পরিচালক, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজিসহ সংশ্লিষ্টদের।